আসসালামু আলাইকুম,
আমার মায়ের দিক থেকে খুব নিকট আত্বীয় যারা একসময় আমাদের সাথে খুব অন্যায় করেছিল।
আমার আম্মার এক বোন আম্মার প্রাপ্ত সম্পদ থেকে তাকে বঞ্চিত করে, তার প্রাপ্ত সম্পদ জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের করে নেই। অন্য ভাইবোনরা এটা নিয়ে সমধান করা তো দূরে থাক বরং আম্মা এবং আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ, অপবাদ দিয়ে আমাদেরকে অন্য সব আত্বীয়দের কাছে দোষী করে।
এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে সামান্য বিষয়েও আম্মার সেই বোনের সাথে আম্মার অন্য ভাইবোনরাও আমাদের সাথে দুব্যবহার, মিথ্যা অপবাদ, এমনকি অপমান অপদস্ত করে গেছে প্রতিনিয়ত। পরবর্তিতে এক ঘটনার জের ধরে আমরা তাদের থেকে সরে এসেছি। সম্পর্ক রাখেনি। তারা আবার খুব ধার্মিক তাবলিগওয়ালা।
পরবর্তিতে তাদের ভিতর থেকেই আবার কেউ কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করে, কিন্তু আমাদের সাথে যে প্রতিনিয়ত অন্যায় হয়েছে, সেটা তারা মানতে নারাজ, এবং আমরাই দোষী এটাই তাদের মত। তারা আমাদের সাথে কোন নমনীয়তা ছাড়াই নিজেদের মতো করে আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়। তাদের জন্য আমাদের পরিবারে একসময় অবস্থা এমন দাড়িয়েছিল যে বাবা মায়ের সম্পর্কের ভিতর মারাত্বক অবনতি হয়েছিল যার প্রভাব আমরা ভাইবোন রা সাফার করেছি দিনের পর দিন।
বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের অনেকেই তাদের পুর্বের মনোভাব বজায় রেখেই আবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে, আমাদের বাসায় আসতে চায়। কিন্তু পুর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতার জেরে আমরা তাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাই না। আবার আত্বীয়দের সাথে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে আল্লাহর আদেশ এবং রাসুলের হাদীস আমাকে খুব পেরেশান করে তোলে। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আসলে কিভাবে চলা উচিত?
একদিকে আল্লাহ ও তার রাসুলের কথা, আবার অন্যদিকে তাদের খারাবী থেকে বাচতে চাওয়া!!!
আমরা স্বীকার করছি আমাদের ব্যবহার, কথাবার্তায় দোষ বা ভুল ছিল, কিন্তু তাদের সম্পর্কে সারমর্ম হিসেবে যেটুকু বলেছি সত্য বলছি। আল্লাহই জানেন,তিনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
সম্মানিত মুহতারাম আমাদের করনীয় সম্পর্কে বলবেন প্লিজ। দুনিয়াতে তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হই, কিন্তু কেয়ামতের মাঠে যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হই।
জাঝাকুমুল্লাহু খাইরান।