বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4247 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সুদ হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। (সূরা বাকারা-২)
সুদ হলো,ঋণ দিয়ে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা।যেমন উসূলে ফিকহের সুপ্রসিদ্ধ মূলনীতি
كل قرض جر نفعا فهو ربا
প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসে সেটাই সুদ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
সুদী কাজে সকল প্রকার সাহায্য সহায়তা নাজায়েয ও হারাম।
সতরাং ছেলের জন্য বাবার সুদী লেনদেনে সাহায্য করা কখনো জায়েয হবে না। বাবার সুদের ঋণের বোঝা বহন করা ছেলের জন্য জায়েয হবে না।
(২)
লোন প্রদানকারী ব্যক্তি কে তার লাভের টাকা না দিয়ে যদি শুধুমাত্র তার প্রদত্ত ১ লক্ষ টাকা দেয় এক্ষেত্রে লোন প্রদানকারীর বাৎসরিক লাভ না দেওয়ার কারণে ওয়াদা ভঙ্গ ও চুক্তি ভঙ্গ এবং ধোকাহর গোনাহ হবে।