বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/901 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
কাফিরের জন্য আখেরাতে মাগফিরাতের দু'আ করা, কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে স্পষ্টত হারাম ও নাজায়েয।
তবে তাদের জন্য হেদায়তের দু'আ করা জায়েয।
এবং হারবী কাফির(সেই দেশের নাগরিক যারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত)এর ক্ষেত্রে দুনিয়াবি ফায়েদার জন্যও দু'আ করা নাজায়েয।
যিম্মি কাফির (ট্যাক্স দিয়ে মুসলিম দেশে বসবাসকারি)এর ক্ষেত্রে দুনিয়াবি ফায়েদার জন্য দু'আ করার বিধান কি না?
সে সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে-
যেমন,ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
إذا قال للذمي أطال الله بقاءك إن كان نيته أن الله تعالى يطيل بقاءه ليسلم أو يؤدي الجزية عن ذل وصغار فلا بأس به وإن لو ينو شيئا يكره كذا في المحيط.
যদি কেউ কোনো অমুসলিম যিম্মি কে উদ্দেশ্য করে বলে যে, অাল্লাহ তোমার হায়াত কে দারাজ করুক। যদি তার নিয়ত থাকে,যে সে লম্বা হায়াত পেলে চিন্তা ফিকিরের সুযোগ পাবে,যেজন্য তার ইসলাম গ্রহণের সুযোগ হতে পারে,অথবা অপমানিত, লাঞ্ছিত অবস্থায় ইসলামি সরকার-কে ট্যাক্স আদায় করবে,তাহলে এমন দু'আ করতে কোনো সমস্যা নাই।তবে কোনো প্রকার নিয়্যাত ছাড়া এমন দু'আ করা মাকরুহ।(মুহিত)(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
"আর যারা অমুসলিম কবরবাসী আছেন, তাদেরকেও মাফ করে দিয়ে আল্লাহ'র রহমতের ছায়ায় টেনে নিন। আমীন।"
এভাবে দু'আ করা নাজায়েয ও হারাম। এটা কুরআনের ঘোষনা। যদি কেউ এমনিতেই এরকম দু'আ করে নেয়, তাহলে সেটা মাকরুহ হিসেবে বিবেচিত হবে।আর কুরআনকে অস্বীকার করার নিয়তে এমন দু'আ করলে অবশ্যই ঈমান চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক।আমীন।