তাসবীহাত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

Question

আসসালামু আলাইকুম।
শাইখ, রাস্তার আশেপাশে, গাছে ইত্যাদিতে পেরেক দিয়ে বিভিন্ন তাসবী, (সুবহানাল্লাহ, আল্লাহর নাম,কুরআনের আয়াত, হাদীস) ইত্যাদি ঝোলানো অবস্থায় থাকে।এটাতে কী পেরেক ব্যাবহার করা যাবে?এগুলার শরয়ী বিধান কী?অনেকে এটা বলেন যে যেখানে গাছের পাতা ছেড়াতে নিষেধাজ্ঞা আছে সেখানে কী গাছে পেরেক মারা যাবে?

নাজায়েজ এবং হারাম কি একই, নাকি পার্থক্য আছে, থাকলে কি?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/359 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ كُتِبَ الْقُرْآنُ عَلَى الْحِيطَانِ وَالْجُدَرَانِ بَعْضُهُمْ قَالُوا: يُرْجَى أَنْ يَجُوزَ، وَبَعْضُهُمْ كَرِهُوا ذَلِكَ مَخَافَةَ السُّقُوطِ تَحْتَ أَقْدَامِ النَّاسِ، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
كِتَابَةُ الْقُرْآنِ عَلَى مَا يُفْتَرَشُ وَيُبْسَطُ مَكْرُوهَةٌ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
দেয়ালে লিখিত কুরআনে বিষয়ে শরয়ী বিধি-বিধান নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে জায়েযই মনে করেন।আবার কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে অপছন্দ করে থাকেন।এজন্য যে,হয়তো তা মানুষের পদতলে পৃষ্ট হতে পারে।(ফাতাওয়ায়ে কাযিখান)এবং বসা বা ঘুমানোর জায়গায় কুরআন লিখা মাকরুহ। (গারাঈব)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;৫/৩২৩)

অনুপযুক্ত স্থানে কুরআন লিখা অনুচিত। মসজিদের দেয়ালে অযথা কুরআনের আয়াত না লিখাই ভালো।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৫/২৬৩)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
(১
যদি তাসবিহাতকে এমনভাবে লিখা হয় যে, তা পড়ে গিয়ে পদপৃষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না, তাহলে এমন হলে অবশ্যই লোকদের স্বরণের জন্য তাসবিহাতকে রাস্তার পাশে প্রতিস্থাপনের রুখসত থাকবে। তবে শর্ত হল, ময়লা ও দুর্গন্ধ যুক্ত স্থানে স্থাপন করা যাবে না।

(২)
নাজায়েয এবং হারামের অর্থ একই।তথা নিষিদ্ধ।
হারাম শব্দের সম্পর্ক খাদ্য ও পানীয়র সাথে।এবং এছাড়া অন্যান্য বিষয়ের সাথে সম্পর্ক হল, নাজায়েয শব্দের।

Comments

 শাইখ এখানে মূল প্রশ্ন টা হলো যে গাছে পেরেক দ্বারা এগুলা লাগানো যাবে কি না?

মানে এই প্লাকাড গুলো গাছে লাগাতে গাছে পেরেক মারা যাবে কিনা? 

---

জ্বী,পেরেক দ্বারা লাগাতে পারবেন। কেননা এদ্বারা ঐ তাসবিহাতগুলো পড়ে গিয়ে পদপৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।