জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিতির নামাজেরও কাজা আদায় করতে হবে।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى
অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
★★ফুকাহায়ে আহনাফদের মতে বিতর নামাজের কাযা তিন রাকাত আদায় করতে হবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي الفتاوى رجل يقضي الفوائت فإنه يقضي الوتر وإن لم يستيقن أنه هل بقي عليه وتر أو لم يبق فإنه يصلي ثلاث ركعات ويقنت ثم يقعد قدر التشهد ثم يصلي ركعة أخرى فإن كان وترا فقد أداه وإن لم يكن فقد صلى التطوع أربعا ولا يضره القنوت في التطوع
ফাতাওয়ার কিতাব সমূহে বর্ণিত রয়েছে,একজন ব্যক্তি সে তার জীবনের ছুটে যাওয়া নামায সমূহের কা'যা করতেছে।তাহলে সে বিতিরেরও কা'যা করবে।যদি নিশ্চিত না থাকে যে,তার উপর কোনো বিতির কা'যা রয়েছে কি না?তাহলে সে তিন রা'কাত কা'যা পড়বে,এবং কুনুত করবে।অতঃপর তাশাহুদ পরিমাণ সময় বৈঠক করবে।অতঃপর আরো এক রাকাত পড়বে।যদি সেটা বিতির হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আদায় হয়ে যাবে।আর যদি বিতির না হয়ে থাকে,তাহলে তো সে চার রাকাত পড়েই নিয়েছে যা নফল হিসেবে গণ্য হবে।নফল নামাযে কুনুত করাতে কোনো সমস্যা নেই।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৫)
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিতির নামাজ এর উমরি কাজা বাধ্যতামূলক।
২/ যদি উমরি কাজা বেশি পড়া হয়,
তাতে সমস্যা নেই।
৩/ উমরি কাজা নফল এর চাইতে উত্তম।
বরং এটি আদায় না করলে নিজ জিম্মায় তাহা থেকেই যাবে।
এভাবে মারা গেলে উক্ত নামাজ গুলির এক একটির জন্য সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ ফিদইয়াহ আদায় করতে হবে।
৪/ উমরি কাজা তে ফরজ
নামাজ আদায় পরিমাণ ছওয়ান পাওয়া যাবে,তবে ওয়াক্তমতো আদায়ের ছওয়াব পাওয়া যাবেনা।
৫/ জুমুয়ার নামাজ এর উমরি কাজা আছে কি না মনে নেই[সেটা বাদ দেওয়া হত না সচরাচর] সেক্ষেত্রে জোহর ধরে পড়া যাবে।
(০৬)
সদকায়ে জারিয়াহ মূলক দান,যেমন মসজিদ,মাদ্রাসা,হাসপাতাল,রাতা ঘাট নির্মানে দান করলে বেশি ছওয়াব।
এর ছওয়াব জারি থাকবে।
সদকায়ে জারিয়াহ না হয়ে যদি এমনিতেই সাধারন দান করা হয়,তাহলে যারা ইলম অর্জন করছে,তাদের মধ্যে যারা গরিব,তাদের দান করলে বেশি ছওয়াব হবে।
কেননা এতে দ্বীনি ইলম অর্জনে সহযোগিতা করা হলো।
(০৭)
এখানে কোন খাতে দান করছে,সেটিই উদ্দেশ্য হবে।
সদকায়ে জারিয়াহ মূলক খাতে দান করলে সদকায়ে জারিয়াহ এর ছওয়াব পাবে।
সদকায়ে জারিয়াহ মূলক খাতে দান না করে অন্য খাতে দান করে এভাবে দোয়া করলে তাহা সদকায়ে জারিয়াহ বলে গন্য হবেনা।
এই দোয়ায় কাজ হবেনা
(০৮)
যার টাকার বেশি প্রয়োজন আছে বলে মনে করবেন,তাকেই দান করবেন।
যদি দুস্থ ব্যাক্তির টাকার অধিক প্রয়োজন হয়,তাহলে আপনি তাকে দান করতে পারেন,সেই সময়ে এটি উত্তম হবে,ইনশাআল্লাহ।