আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
আমার বাবা  ৫/৭ বছর আগে একটি জুতার ব্যবসা শুরু করেছিল। যাদেরকে জুতা দিত তারা  জুতা নিয়ে ঠিক টাইমে টাকা দিত না । এজন্য তারা বলেছিল যে একটা ব্যাংক থেকে তাদের বিল দেখিয়ে টাকা নিতে।আর চুক্তি হয়েছিল ব্যাংকের টাকা তারা পরিশোধ করবে। চুক্তিতে একটা পার্সেন্টেজ কেটে রাখবে সেটাও ছিল। (মানে সুধ)।

কিন্তু তারা ব্যাংকের সব টাকা এখনও পরিশোধ করেনি। গত পাঁচ বছর তারা ব্যাংকে কোন টাকা দেয়নি এবং ওই টাকা ছাড়াও তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক লাখ টাকা পাই।এ

তদিন টাকা না দেয়াতে ব্যাংকে সুদের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় এবং ব্যাংক  আমাদেরকে প্রেসার দেয় টাকা পরিশোধ করার জন্য। মামলা করে ফেলে যার কারণে আমরা টাকা দিতে বাধ্য হই ।
অনেক দরখাস্ত করার পর সুদের পরিমাণ কমিয়ে আনা হলেও টোটাল ঋণে আমাদের সুদ তিন লক্ষ টাকার মতো আসে।
(জুতার ব্যবসা টা আমাদের এখন পুরোপুরি ভাবে বন্ধ)
এখন আমার প্রশ্ন হল
১.  এমন অবস্থায় আমরা কিভাবে সুধ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারি ? কিভাবে পুরোপুরি হালাল উপার্জনের মধ্যে থাকতে পারি ?
২. আমার ভাই যদি তার হালাল উপার্জন দিয়ে বাবার এই ব্যাংকের লোনের টাকা এবং সুদের টাকা পরিশোধ করে তাহলে কি তার গুনাহ হবে?  (সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে কারণ ব্যাংকে আগেই চুক্তি করা হয়েছিল)

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে সূদ আদান প্রদানের সাথে যেকোনো ভাবে যুক্ত হওয়া জায়েজ নেই। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে ব্যাংক থেকে তাদের বিল দেখিয়ে টাকা নিতে আপনার বাবার চুক্তি হয়েছিলো,সুতরাং ব্যাংক থেকে যে টাকা আপনার বাবা নিয়েছেন,সেগুলো আপনার বাবার পাওনা টাকা।
তাহা তার নিজেরই।

এই টাকা শোধ করবে যারা জুতা নিতো,তারা।
এই টাকা, এই টাকার সূদ আপনাদের শোধ করার যৌক্তিকতা নেই।

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তারা ব্যাংকের টাকা শোধ না করায় আপনারা আটকার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন।

(০১)
এমতাবস্থায় আপনারা সেই ব্যাক্তিদের খুজে বের করে তাদেরকে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে বিষয় বুঝিয়ে ব্যাংক এর চাপ থেকে নিজেরা মুক্ত হবেন।

কোনোভাবেই সমাধান না হলে এর সূদ আপনার শোধ করবেন।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তার গুনাহ হবে।
মহান আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...