বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে,এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না।যেমন হযরত আবুযর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন।(সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩)
,
★সুতরাং না জেনে কুফরী করলে যেহেতু কেহ কাফের হয়না,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়নি।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি না জেনেই কুফরি মূলক কাজ করে, বা কুফরি মূলক কথা বলে,সে জানেনা যে এতে সে কাফের হয়ে যাবে,আর তাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি।
তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে কাফের হবেনা।
এই ব্যক্তি মারা গেলে তার জানাজায় অংশ নেওয়া যাবে।
তার জন্য ইসালে সওয়াব করা যাবে।
তার মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করা যাবে।
তবে যদি সে জেনে শুনে কুফরে আকবর এ লিপ্ত হয় সে জানে যে এতে সে কাফের হয়ে যাবে,জানার পরেও সে এহেন কাজে লিপ্ত হয়,পরবর্তীতে যদি সে তওবা করে ইসলামে ফিরে না আসে,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই ব্যক্তি মারা গেলে তার জানাজায় অংশ নেওয়া যাবেনা।
তার জন্য ইসালে সওয়াব করা যাবেনা।
তার মৃত্যুর পর তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা যাবেনা।