আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
182 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
আমি একজন ছাএ। আমি দিনের পথে চলতে চাই।তাই আমি যিনা থেকে বাচার জন্য বিয়ে করতে চাই এবং তা আমার মার কাছে জানিয়েছি তিনি তা নিষেদ করে দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন নিযেকে সংযত রাখতে যেন রেজা রাখি। কিন্তু আমি তাতেও পারবনা বলে মনে হয়।  এখন আমি কি নিজে বিয়ে করতে পারব।না আমার পিতা মাতা কে আবার বলব।এখন আমি কি করতে পারি দয়া করে একটু বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর তাকে বিবাহ দেয়া বাবার দায়িত্ব। 
বিবাহের প্রবল প্রয়োজনীয়তা থাকলে বাবার জন্য দেড়ি করা সমীচিন হবেনা।
 ‘আল্লাহ না করুন’ তখন যদি উক্ত ছেলে/ মেয়ে কোন অনৈতিক কাজ করে ফেলে তাহলে এর দায়ভার পিতার উপরও বর্তাবে। 

কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
আপনি যেহেতু ছাত্র,সুতরাং আপনি  যদি স্ত্রীর মোহরানা,  ভরনপোষণ এর দায়িত্ব নিতে সক্ষম না হোন, তাহলে আপনার জন্য বিবাহ ওয়াজিব হবেনা।
এটি মাকরুহ হবে।
আপনার বাবা যদি নিজ থেকে খরচ চালাইতে চান,তাহলে সেটি ভিন্ন ব্যাপার। 
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য করনীয় হলো মুরব্বিদের মাধ্যমে আপনার বাবাকে নিজের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা বুঝাবেন।
এতে কাজ না হলেও আপনি নিজে নিজে বিবাহ করার মতো অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করবেননা।
      
আপনি রোযা চালিয়ে যাবেন।
পরিবারকে এই রোযা চালিয়ে যাওয়ার বিষয় পূর্ণ ভাবে অবগত করবেন,তারা বিষয়টি ভালোভাবে জানলে অবশ্যই বিবাহ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...