জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর তাকে বিবাহ দেয়া বাবার দায়িত্ব।
বিবাহের প্রবল প্রয়োজনীয়তা থাকলে বাবার জন্য দেড়ি করা সমীচিন হবেনা।
‘আল্লাহ না করুন’ তখন যদি উক্ত ছেলে/ মেয়ে কোন অনৈতিক কাজ করে ফেলে তাহলে এর দায়ভার পিতার উপরও বর্তাবে।
কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه
তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যেহেতু ছাত্র,সুতরাং আপনি যদি স্ত্রীর মোহরানা, ভরনপোষণ এর দায়িত্ব নিতে সক্ষম না হোন, তাহলে আপনার জন্য বিবাহ ওয়াজিব হবেনা।
এটি মাকরুহ হবে।
আপনার বাবা যদি নিজ থেকে খরচ চালাইতে চান,তাহলে সেটি ভিন্ন ব্যাপার।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য করনীয় হলো মুরব্বিদের মাধ্যমে আপনার বাবাকে নিজের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা বুঝাবেন।
এতে কাজ না হলেও আপনি নিজে নিজে বিবাহ করার মতো অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করবেননা।
আপনি রোযা চালিয়ে যাবেন।
পরিবারকে এই রোযা চালিয়ে যাওয়ার বিষয় পূর্ণ ভাবে অবগত করবেন,তারা বিষয়টি ভালোভাবে জানলে অবশ্যই বিবাহ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে,ইনশাআল্লাহ।