আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহ্মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ..
কোন লোকের স্ত্রী কিছু খাবার জিনিস মাটিতে এক্সিডেন্টলি ফেলে দিছে.. তো তার স্ত্রীর উচিত ছিল সেগুলো অপচয় না করে মাটি থেকে তুলে তা আবার পরিষ্কার করে পাত্রে রাখা..স্বামী তার স্ত্রীর এ কাজকে ঘৃণা করেছে টিক কিন্তু সে তার স্ত্রীর কষ্ট হয়ে যাবে বলে মাটি থেকে খাবার তুলতে (কারণ খাবারগুলো খুব ছোট ছোট দানা দানা ছিল যা মাটি থেকে তুলে পাত্রে রাখা এক্টু কষ্টকর)আদেশ না করে বরং তার স্ত্রীকে আর সেটা মাটি থেকে তুলতে বলে নি, ফলে ওই খাবারটি অপচয় হয়ে গেল...এখন স্বামীর উচিত ছিল তার স্ত্রীকে খাবার মাটি থেকে তুলতে আদেশ করা যাতে খাবার অপচয় না হয়.. কিন্তু স্বামী তার স্ত্রীর কষ্ট হয়ে যাবে বলে খাবার তুলতে আদেশ যে করল না ফলে খাবার অপচয় হয়ে গেল.. অপচয়ের কাজে সমর্থন দিয়ে স্বামীর কি ঈমান নষ্ট হয়ে গেল? কারণ ইসলামে খারাপ কাজ দেখলে হাত দিয়ে, মুখ দিয়ে বা অন্তর দিয়ে বাধা দেওয়ার কথা এসেছে.. কিন্তু উপরিল্লোখিত স্বামী হাত, মুখ বা অন্তর দিয়ে বাধা দেই নি.. বরং তার স্ত্রীর অপচয়ের কাজে সমর্থন দিলো..

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীর উচিৎ ছিল, স্ত্রীকে সৎ কাজের আদেশ প্রদাণ করা।তবে স্ত্রীকে সৎ কাজের আদেশ না করার কারণে স্বামীর কুফরির গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...