আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
457 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর,


কোন ব্যক্তির যদি কোন ঘটনার কারণে সন্দেহ হয় যে, তার হয়ত তার স্ত্রীর সাথে তালাক হয়ে গিয়েছে। আর সে যদি সেই ঘটনার জন্য মনে মনে ধরে নেয় যে, তার দুই তালাক হয়েছে। উক্ত কারনে সে তার স্ত্রীর সাথে আবার বিয়ে নবায়ন করলো।

বিয়ের পরের দিন তার আর তার স্ত্রীর মাঝে খুনসুটি চলছিল। ঐ সময় তার স্ত্রী তাকে উত্ত্যক্ত করছিল। তখন সে তার স্ত্রীকে এরকম করতে বারণ করলো এবং বললেন, “অলরেডি দুইবার হয়ে গিয়েছে একবার বাকি আছে।” বা “অলরেডি দুইবার দিয়ে দিয়েছি একবার বাকি আছে।”

[উপরোক্ত দুটি বাক‍্যের যেকোনো একটি বাক্য সে বলেছিল।]


উপরোক্ত বাক‍্যে যদিও সে তালাক শব্দটি উচ্চারণ করেননি, কিন্তু সে তালাকের নিয়তে বা তালাকের কথা বোঝাতেই এই বাক্য বলেছিল এবং তার স্ত্রীও সেটা বুঝতে পেরেছিল। [সে কোনো সময়েই তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক শব্দটি উচ্চারণ করেননি।]


কিন্তু এই ঘটনার কিছুদিন পর সে জানল, যে ঘটনার জন্য সে ধরে নিয়েছিল দুই তালাক হয়েছে আসলে সেই ঘটনার ফলে কোন তালাক হয়নি।


এখন প্রশ্ন হলো,


১/ উক্ত বর্ণনায় উল্লেখিত তার উচ্চারিত বাক্যের জন্য কি তার দ্বারা তালাকের স্বীকারোক্তি হবে?


২/ তারা তো তালাকের সন্দেহের কারণেই বিয়ে করেছিল, তাই যদি ঐ ঘটনার দ্বারা তালাকের স্বীকারোক্তি হয়ে যায় তবে কি তাদের আবার বিয়ে নবায়ন করতে হবে? [যেহেতু ঐ বাক‍্যটি সে বিয়ে নবায়ন করার পরে বলেছিল]


৩/ উপরোক্ত যে দুটি বাক‍্যের একটি উচ্চারণ করা হয়েছে বলা হয়েছে সেই বাক‍্য দুটির মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে তালাকের স্বীকারোক্তির ক্ষেত্রে?


৪/ ঐ ব্যক্তি যদি এই ঘটনা কারো কাছে বর্ননা করার সময় কারো কারো কাছে উপরোক্ত বাক্য দুটির একটি উচ্চারণ করেছিল বলে, আবার অন‍্য কারো কারো কাছে ঐ ঘটনার বর্ণনা দেয়ার সময় উপরোক্ত বাক্য দুটির অন‍্যটি উচ্চারণ করেছিল বলে তাহলে কি স্বীকারোক্তি যদি হয় তার বিধানের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হবে?

[যদিও তার উভয় বাক‍্যের মাধ্যমেই এক‌ই প্রেক্ষাপটের কথা বোঝানোর উদ্দেশ্য ছিল]


৫/ উপরোক্ত সকল বিবরণ ও প্রশ্ন দেখার পর উক্ত ব্যক্তির জন্য আপনার পরামর্শ কি থাকবে? [সে একজন ওয়াস‌ওয়াসার রোগী এবং সে তার স্ত্রীকে অনেক ভালবাসে।]


৬/ তালাকের প্রশ্ন লেখার সময় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অজ্ঞতা বশত বা ভুলবশত দাড়ি, কমা বা অন্যান্য চিহ্ন লেখার সময় ভুল হয়ে যায়, যার ফলে প্রশ্নের অর্থ অনেক সময় পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।[কারন অধিকাংশ মানুষের ব‍্যাকরন সম্মন্ধে সঠিক জ্ঞান নেই।]

কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে ব‍্যাকরণগত বা বানানগত ভুল থাকলেও আপাত দৃষ্টিতে দেখলে বোঝা যায় প্রশ্নকর্তা আসলে কি বোঝাতে চেয়েছেন।
[উদাহরণস্বরূপ আমার এই লেখা লিখতে গিয়ে ঐ ব্যক্তির উচ্চারিত সম্ভাব্য বাক্য দুটি লেখার সময় ("“”) চিহ্নগুলো লেখার ক্ষেত্রে প্রথমে ভুল হয়েছিল, প্রথমে " " এই চিহ্ন দিয়েছি এবং পরে “ " এই চিহ্ন ব্যবহার করেছি। এর অনেকক্ষণ পরে যখন খেয়াল আসলো তখন “” এই চিহ্ন ব্যবহার করেছি। যদিও সাধারণ ভাবে দেখলে বোঝা যাবে আমি কি লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কিছু হয়ত ব‍্যাকরনগত বা বানানগত ভুল থাকে।]


এক্ষেত্রে প্রশ্নকর্তা কি বোঝাতে চেয়েছেন তা বোঝার পরেও ব‍্যাকরণগত বা বানানগত ভুলের কারণে কি প্রশ্নের অর্থ পাল্টে যাবে?
এর দ্বারা কি কোনভাবে প্রশ্নকর্তার তালাক হ‌ওয়ার সম্ভাবনা থাকে?


৭/ কেউ নিজের সাথে  কিছু মিল এবং কিছু অমিল বা  সম্পুর্ণ মিল রেখে তালাকের ব‍্যাপারে প্রশ্ন লেখার জন্য যদি কাল্পনিক কোন ব্যক্তি চরিত্র কল্পনা করে সেই ব‍্যক্তিকে নিয়ে যদি প্রশ্ন লেখে, আর সেই সময় যদি তার মনে হয় সে তো তার নিজের সম্মন্ধে লিখতেছে তবে কি তার তালাক হয়ে যাবে?


৮/ কারো স্ত্রী যদি তাকে বলে, “আমার পেট আর স্তনের গঠন আমার মায়ের মত।”

এই কথা জানার

 পর কখনো তার স্ত্রীকে বলে, “তোমার স্তনের গঠন তো তোমার মায়ের মত।” বা “তোমার পেট তো তোমার মায়ের মত।"

অর্থাৎ স্তনের ও পেটের গঠন বোঝাতে এবং ভবিষ্যতে তার শ্বাশুড়ির মত বয়সে এগুলোর গঠন কিরকম হবে সেটা বুঝানোর জন্য সে তার শ্বাশুড়ির সাথে স্ত্রীকে তুলনা করে। কিন্তু এর ফলে তার কল্পনায় শ্বাশুড়ির স্তনের দৃশ্য আসে এবং সে যৌন উত্তেজনা অনুভব করে। (যদিও সে তার শ্বাশুড়ির এসব অঙ্গ কখনো দেখিনি।)


এক্ষেত্রে তবে কি তার যিহার হবে? এই কথা সে অনেকবারই হয়ত বলেছে। কতবার বলেছে তা মনে নেই। যতবার বলেছে ততবার কি কাফফারা আদায় করতে হবে?

(এসকল ঘটনার আগে সে যিহার সম্পর্কে জানত না। যিহার সম্পর্কে জানার পরও শ্বাশুড়ির সঙ্গে স্ত্রীর তুলনা করলে যিহার হয় কিনা তা সে জানত না। তাই অবশ্যই যিহারের নিয়ত ছিল না।)


#আর হুজুরের সাথে সাথে কোন ভাবে যদি যোগাযোগ করতে হয় আরো ভালো করে বিবরণ দেয়ার জন্য উপরোক্ত বিষয়ে তাহলে দয়া করে আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনার ফোন নাম্বারটা দিয়েন।


জাযাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নের জবাব আমরা দিতে পারবো, তবে তা আপনার জন্য ফায়দাদায়ক হবে না।তাই আপনাকে বলবো, স্থানীয় কোনো মাদরাসায়/দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন। হ্যা, আমার প্রুফাইলে দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (15 points)
হুজুর আপনার নম্বর কোথাও পাচ্ছি না। আপনাকে তা ফেসবুকে নম্বরের জন্য নক করেছি এবং হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপেও নম্বরের জন্য আবেদন করেছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...