বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ঈদের নামাযে ছয় তাকবীর বলা ওয়াজিব। এবং দ্বিতীয় রাকাতে রুকুর তাকবীরও ওয়াজিব। এটা ইমামের জন্যও ওয়াজিব এবং মুক্তাদির জন্যও ওয়াজিব। ইমাম সাহেব যদি তাকবীর না দেন, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কথা তবে, ঈদ ও জুম্মার নামাযে যেহেতু সাহু সিজদার বিধান নেই, তাই তাকবীর ছেড়ে দিলেও সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
হ্যা, ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর বলার সময় হাত উঠানো সুন্নত। ওয়াজিব নয়। তাই কেউ হাত না উঠালেও তার নামায হয়ে যাবে। এ কারণে সাহু সিজদা করতে হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত এমনটি করা ঠিক নয়।
-তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/২৮৫; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকি, ১৩৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪৭৪
ঈদের নামায সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
ولو ترك تكبيرة الركوع الثاني في صلاة العيد وجب عليه السهو؛ لأنها واجبة تبعا لتكبيرات العيد بخلاف تكبيرة الركوع الأول؛ لأنها ليست ملحقة بها، كذا في التبيين السهو في الجمعة والعيدين والمكتوبة والتطوع واحد إلا أن مشايخنا قالوا لا يسجد للسهو في العيدين والجمعة؛ لئلا يقع الناس في فتنة، كذا في المضمرات ناقلا عن المحيط.
যদি ইমাম সাহেব ঈদের নামাযের দ্বিতীয় রা'কাতের রু'কুর তাকবীর কে ছেড়ে দেন।তাহলে উনার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।কেননা দ্বিতীয় রা'কাতে রু'কুর তাকবীর ওয়াজিব।তবে প্রথম রা'কাতের রু'কুর তাকবীর এর বিপরীত।এটা তাকবীরাতে ঈদের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।(তাবয়ীনুল হাকায়েক)জুমুআহ, দুই ঈদ,ফরয এবং নফল সকল নামাযে সাহুর একই বিধান।তবে আমাদের মাশায়েখগণ বলেন,জুমুআহ এবং ঈদের নামাযে সাহু সেজদা নেই।কেননা এক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।(মুযমারাত)
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৮)