আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
282 views
in পবিত্রতা (Purity) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
১. আমি গতকাল রাতে বিছানায় টিকটিকির বিষ্টা দেখতে পাই যখন তা ভিজা ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে ভোর প্রায় ৬টার সময় আমি উক্ত স্থানে ঘুমাতে যাই এবং অজ্ঞতা বশত বিষ্ঠার উপরাংশে ঘুমিয়ে পড়ি। প্রায় সকাল ৯টার সময় যখন আমি তা দেখি সে অবস্থায় বিষ্টা শুকনো ছিলো যা কাপড়ে লাগার কথা না। কিন্তু আমি এখন বলতে পারছি না প্রথম যখন ৬টার দিকে ঘুমাতে যাই তখন উক্ত বিষ্টা ভিজা ছিলো না শুকনা! এ অবস্থায় আমি কি আমার কাপড় পাক ধরবো না নাপাক?

২. সূরা আল কাউসারের শেষ আয়াতে কুফুওয়ানের ক্ষেত্রে যদি কুফুয়ান উচ্চারণ হয় তাহলে কি অর্থ পরিবর্তিত হবে?

৩. আমার অনেক ওয়াসওয়াসার সমস্যা। প্রস্রাবের পর প্রায় কোমড় অবধি পানি দিই। এ অবস্থা দূরীকরণে প্রসাবের পর শুধুমাত্র টিস্যু ইউজ করলে কি হবে? আর মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রসাবের পর শুধু বাহ্যিক অংশটুকু পরিষ্কার করলেই হবে?
৪.ওয়াসওয়াসা জনিত কারণে অনেক পানি খরচ হয়। এতে কি গুনাহ হবে? ইচ্ছে করে করি এমন না, বরঞ্চ নিজেকে সামলাতে পারি না তাই বাধ্য হয়ে করি।

৫. হালকা আদ্র ভেজা কাপড় যা চিপা হলে পানি পড়বে না কিংবা কাপড়ে চাপ দিলে হাতে কোনো পানি লাগে না শুধু সামান্য ভেজা-শুকনো টাইপ৷ এমন কাপড়ের সাথে শুকনো নাপাক কাপড় লাগলে কি তা নাপাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কাপড়ে যদি বৃষ্টার দাগ দেখতে না পাওয়া যায়, তাহলে কাপড়কে পাক পবিত্রই ধরে নিবেন। হ্যা, সতর্কতামূলক  কাপড়কে ধৌত করে নিতে পারেন।এটাই উত্তম।হবে।

(২)
সূরা আল ইখলাছের শেষ আয়াতে কুফুওয়ানের ক্ষেত্রে যদি কুফুয়ান উচ্চারণ হয় তাহলে অর্থ পরিবর্তিত হবে না।

(৩)
https://www.ifatwa.info/11340 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
প্রস্তাবের পর ইস্তেঞ্জার বিধান হল,প্রস্রাব পায়খানার স্থানকে নাজাসত মুক্ত রাখা,পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা।সুতরাং প্রস্রাবের পর যত সময় ধরে টিস্যু ধরে রাখলে, লজ্জাস্থান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে,তত সময় পর্যন্ত উক্ত স্থানকে টিস্যু ইত্যাদি রেখে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।তবে যদি কারো বাস্তবে কিছু না আসে,বরং অন্তরে সর্বদা সন্দেহ জাগ্রত হয়,তাহলে এমতাবস্থায় প্রস্রাবের পর হাতে যৎসামান্য পানি নিয়ে কাপড়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।যাতেকরে ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যায়।
ইস্তেঞ্জার পদ্ধতি নিয়ে ফুকাহায়ে কেরাম পরামর্শ দেন,যে প্রস্রাবের পর লিঙ্গকে পিছন থেকে সামনের দিকে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্টাঙ্গুলি দ্বারা নিংড়ানো।এদ্ধারা প্রস্রাবের নালিতে আটকে যাওয়া সমস্ত প্রস্রাব বের হয়ে যায়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2151

(৪)
জ্বী, অপচয়ের গোনাহ হবে।

(৫)
না, নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...