আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
543 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) সূরা ইখলাসের দ্বিতীয় আয়াত শুরুর আগে যে নূন আছে, সেটা কখন উচ্চারিত হবে? কেউ যদি "নিল্লাহুস সমাদ" বলে, তবে তার বিধান কী?

২) ফরজ রোজার কাযা আদায়ের সময় একসাথে নফল রোজার নিয়্যাত করা যাবে? যেমন কেউ রমজানের পরে রমজানে মিস হওয়া রোজার কাজা আদায় করার দিন সোমবার। ঐদিন কি সোমবারের নফল রোজা বা এরূপ শাওয়াল মাসের ছয় রোজার নিয়্যাত করতে পারবে?

৩) ফরজ রোজার কাযা আদায়ের সময় সেটা স্বেচ্ছায় (ওজর ব্যতীত) ভেঙে দিলে কি কাফফারা আদায় করতে হবে (যেহেতু এটা ফরজ রোজা ছিল)?

৪) কোনো কারণ ছাড়া স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে নফল রোজা ভেঙে দিলে তার বিধান কী?

৫) কোনো সম্পত্তি যদি কারো দখলে না থাকে বা যাদের নামে আছে তারা এবং তাদের ওয়ারিশগণ সবাই মারা যায় বা নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, তা দখল করা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (651,660 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সহজ কথায় এভাবে বলা যায় যে,
সূরায়ে ইখলাছের প্রথম আয়াতের সাথে দ্বিতীয় আয়াতকে মিলিয়ে পড়লে তখন উক্ত নুন পড়তে আসবে। আর যদি প্রথম আয়াতে ওয়াকফ করা হয়ে থাকে, তাহলে উক্ত নুন পড়তে আসবে না।

(২)
একাধিক নিয়তে কোনো একটি রোযাকে রাখা যাবে না।

(৩)
ফরয রোযার কাযা আদায়ের সময়ে ইচ্ছাকৃত ভেঙ্গে দিলে কাযা কাফফারা উভয়টাই লাগবে।

(৪)
কোনো কারণ ছাড়া স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে নফল রোজা ভেঙে দেয়ার রুখসত রয়েছে।তবে কাযা আদায় করা ওয়াজিব।

(৫)
কোনো সম্পত্তি যদি কারো দখলে না থাকে বা যাদের নামে আছে তারা এবং তাদের ওয়ারিশগণ সবাই মারা যায় বা নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, যদি নিজ প্রয়োজন হয়, এবং আশপাশের লোকজনের তেমন প্রয়োজন না থাকে, তাহলে ঐ ব্যক্তির জন্য দখল করা জায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (651,660 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (61 points)
১ নং এর ক্ষেত্রে ওয়াকফ করার পরও যদি নূন উচ্চারণ করে বা ওয়াকফ না করার পরও যদি নূন উচ্চারণ না করে, তাহলে কি লাহনে জলী হবে?
by (651,660 points)
মিলিয়ে পড়লে নুন পড়তে হয়, তবে কেউ না পড়লে লাহনে জ্বলী হবে না। আর মিলিয়ে না পড়লে নুন পড়ার  তো কোনো প্রশ্নই আসে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...