আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বয়স ২৪চলছে আমি কলেজ থেকে রিলেশনে ছিলাম একটা ছেলের সাথে পরে দীনের বুঝ দুইজনের মধ্যেই আসার পর ভার্সিটির ১ম বর্ষে একমাত্র আল্লাহর জন্য হারাম থেকে বাঁচতে আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই ২০১৯ সালে আমার মায়ের অনুমতিতে উপস্থিতিতে কাজি অফিসে ৩জন সাক্ষীর সামনে। বাবা নেই মারা গেছেন আর ছেলের পরিবারের কেউ বিয়ের ব্যাপার জানেনা, এখন বিয়ে মেনেও নিবেনা, ছেলে প্রতিষ্ঠিত হলে তারপর, ছেলে এখনও পড়াশোনা করে।সে আমাকে বিবিধ হাতখরচ দিলেও এখনও ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে সমর্থ হয়নি সেজন্য আমার মা আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে ওর জন্য এবং যা আসে তাই বলে আমাদের ব্যাপারে মুখ খারাপ পর্যন্ত করে, ওর সাথে কথা বলতে দিতে চায়না, দেখা করতে দিতে চায়না, মাঝে মাখে বেয়াদবি করতে বলা হয় কিন্তু আমি করিনা অনেক সময় মায়ের কথায় করেও ফেলেছি, পরে ওকেই আমি সঠিক দেখতে পেয়েছি এবং অনুতপ্তও হই, আমাদেরকে শারীরিক সম্পর্কেও জড়াতে একদম নিষেধ করেছে(এই জন্য যদি প্র‍্যাগ্নেন্ট হই ছেলে ও ছেলের পরিবার যদি অস্বীকার করে), একই ঘরে রাখা হলেও বাড়ীতে রাখা হয়না কখনো একা। কিন্তু ও এরকম না ইং শা আল্লহ, আমাকে শুরু থেকেই সাপোর্ট করেছে, খুব ভালোবেসে গেছে, সবসময় পাশে পেয়েছি, দীন পালনে আমাকে সবসময় সাহায্য করে,আইওএমে পড়াচ্ছে যাতে দীন শিখি, নিজেও ভর্তি হবে তাজবীদে এবার ইচ্ছা করেছে।কিন্তু যে জন্য বিয়ে করলাম যেনো জেনার গুনাহ না হয়ে স্বামী স্ত্রীর হালাল সম্পর্ক হয় তবু বিয়ে করেও আলাদাই থাকতে হচ্ছে। তবু আমরা বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাই এবং সেটা এখনো আছে। ও আমাকে তেমন কিছু দিতে পারেনা কিন্তু সবসময় পাশে পেয়েছি, ওর আগামী বছর পড়া শেষ হলে চাকরী করলে ওর বাসায় আমাকে আনবে। আমার মা, বড় বোন উনারা আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে এবং কথা শোনাতে বলে কিছু দিতে না পারার জন্য।কিন্তু আমি জানি ওর সামর্থ আছে কিনা। মায়ের কথায় মাঝে মাঝে ওর অসামর্থতা আমার খুব খারাপ লাগে। আবার না চাইতেও মায়ের সাথে প্রচুর কথা কাটাকাটি হয়, জেরা হয়, আমাকে প্রচুর খোটা দেয়,মারতেও আসে। বড় ঝগড়াতেও পরিণত হয়, আমি মায়ের সাথে ঝগড়া করতে চাইনা। কিন্তু আমার মা আমাকে এমন কিছু ব্যবহার করতে বলে যেটা স্বামীর সাথে খুবই খারাপ আচরণের পর্যায় চলে যাবে আর সেটা আমি করতে কখনোই চাইনা।
এখন আমার প্রশ্ন হলো, ছাত্র অবস্থায় বিয়ের কারনে আমার কী আমার মায়ের অভিভাকত্ব অনুযায়ী চলা উচিত নাকি স্বামীর?
আর শারীরিক সম্পর্কের জন্য কী দুজনে গুনাহগার হচ্ছি?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিয়ের পর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর উপর ওয়াজিব।আপনার জীবিকা নির্বাহ করার মত অর্থকরি আপনাকে স্বামী দিতেই হবে।এটা তার উপর ওয়াজিব।সে ছাত্র হোক বা চাকুরীজীবী হোক, আপনার ভরণপোষণের দায়িত্ব তাকে নিতেই হবে।প্রয়োজনে সে দিনমজুরী করে আপনার ভরণপোষণ করবে।

বিয়ের পূর্বেই এ বিষয়টা তার চিন্তা করা উচিৎ ছিল। ঘরে তুলুক বা নাই তুলুক সে সর্বদা আপনার খোরাকির ব্যবস্থা করবে।

আপনারা যেহেতু বিবাহিত, তাই আপনার মা এমনকি কেউ আপনাদেরকে শারিরিক সম্পর্ক থেকে বিরত রাখতে পারবে না। আপনারা শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন।হ্যা, সাময়িকভাবে বিরাট ঝামেলা থেকে বাচতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবেন। 

আপনাকে যদি আপনার স্বামী ভরণপোষণ এবং মহরের টাকা পরিশোধ না করে, তাহলে আপনার এ অধিকার রয়েছে, তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। তবে তার সাথে খারাপ আচরণ করতে পারবেন না বা তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...