মাজুর এর বিধান জানার ছিল

Question

আসসালামুআলাইকুম।

রাত 1 টা বা তার কিছু পরে থেকে আমার ব্রণ থেকে প্রচুর পরিমাণ এ রক্ত সহ তরল নির্গত হতে থাকে যেটা কোনো মুহূর্তেই পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছিল না। অপেক্ষা করতে থাকি অফ হওয়ার জন্য বেতের সালাত বাকি ছিল। কিন্তু সেহেরী পার হয়ে ফজর এসে যায় রক্ত বন্ধ হয়নি ফজরের পর ও চলছে। এমতাবস্থায় বেতের কাযা করে ফেলি কোনোভাবেই অজু করতে পা পারায়। আর যেহেতু এশার পুরো সময় রক্ত ছিলনা মাজুর হিসেবেও পড়তে পারিনি। ফজরের শেষ ওয়াক্তে মাজুর ধরে বেতের কাযা সহ ফজরের নামাজ পড়ে ফেলি। খুব সম্ভবত জোহরের সময় এই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে আর মাজুর থাকবো না। তখন কি আমার এই বেতের আর ফজরের নামাজ কাযা করতে হবে? এখনো রক্ত/তরল নির্গত হচ্ছে ফজরের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6209 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু বা প্রস্রাব বা লিকুরিয়া উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট।আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযের যখনই লজ্জাস্থানে আদ্রতার দেখা মিলবে, তখন আবার ওজু করে এসে নামায পড়তে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বিতির এবং ফজরের নামায আদায় হয়ে গিয়েছে।সুতরাং আপনাকে আবার আদায় করতে হবে না।