আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
408 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার গতকাল আসরের ওয়াক্তে সামান‍্য একটু হলুদ স্রাব গিয়েছিল।আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ধারনা ছিল যে এই স্রাব এর পর আরো পিরিয়ডের স্রাব আসতে পারে।এরকম স্রাবে আমার শেষ হয় না।কিন্তু মাগরিব,তারপর এশার ওয়াক্তেও কোনো স্রাব আসছিল না দেখে শেষরাতে গোসল করে নামায পরি।

তারপর ফযরের নামাযের পর আবার পিরিয়ডের হালকা লাল হলুদ স্রাব গিয়েছে।জোহরের ওয়াক্তে একবার হলুদ স্রাব গিয়েছে।তারপর থেকে আর কোনো স্রাব যায় নি।আবার আসরের ওয়াক্তে সামান‍্য হলুদ স্রাব গেছে।তারপর থেকে আর যাচ্ছেনা। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ধারনা এরপরও পিরিয়ডের স্রাব যেতে পারে,আবার সম্পুর্ন সাদা স্রাবও যেতে পারে।

এখন কি করনীয়?

সাদা স্রাবের জন‍্য অপেক্ষা করতে গিয়ে যদি কোনো নামাযের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,এতক্ষন কি অপেক্ষা করা যাবে?অনেক সময় এক ওয়াক্তে একটু পিরিয়ডের স্রাব যায়।তারপর ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলেও আর কোনো রক্ত যায় না।কিন্তু ধারনা থাকে যে এরপর আরো পিরিয়ডের স্রাব যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।আর ২-১ ওয়াক্ত পেরিয়ে যাওয়ার পর হয় ও তাই।আবারো স্রাব আসে।


তাহলে ধারনা অনুযায়ী অপেক্ষা করা কি উচিত(যদিও কোনো ওয়াক্ত পার হলেও রক্ত বন্ধ থাকে)

নাকি কোনো এক ওয়াক্তে রক্ত এমন বন্ধ হলেই গোসল করে নামায পরা উচিত(যদিও মনে ধারনা থাকে যে এরপর আবারো আসতে পারে রক্ত)?


সাদা স্রাবের অপেক্ষা করতে গিয়ে যদি কোনো ওয়াক্ত নামায কাযা হয়ে যায় তাহলে কি গুনাহ হবে?


এ নিয়ে কনফিউশানে আছি।এর আগেও এমন কনফিউশানে ২-৩ বার গোসল করা লেগেছিল।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণ অস্পষ্ট। আমরা যা বুঝেছি, সেই আলোকে বলছি।
প্রয়োজনে আপনি ইডিট করে দিবেন।আমরা আপনার প্রশ্নের জবাব প্রদাণের চেষ্টা করবো--
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/78

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...