ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/19576 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নফল নামায অপেক্ষাও মা-বাবাকে খুশি করা উত্তম নেকির কাজ।
যেমন এক হাদীসে নবী কারীম সাঃ বনী-ঈসরাইলের এক আবেদ(সূফী-দরবেশ)এর তার মার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা(নফল নামাযে মায়ের ডাকে সারা না দেয়া) বর্ণনা করে বলেন।
"যদি তাঁর মাতা তার বিরুদ্ধে অন্য কোন বিপদে পতিত হওয়ার বদ দুআ করত তাহলে অবশ্যই সে সেই বিপদে পতিত হত।"
তরজমাঃ- আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জুরাইজ (বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি) তাঁর ইবাদতখানায় সর্বদা ইবাদতে মশণ্ডল থাকতেন। (একবার) তাঁর মাতা তাঁর কাছে এলেন। হুমায়দ (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছে আবূ রা'ফে এমন আকারে ব্যক্ত করেন, যেমন ভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মায়ের ডাকের আকার আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর কাছে ব্যক্ত করেছেন। কিরুপ তিনি কপালের নিচে আব্রুর উপর হাত রেখেছিলেন। এরপর তাঁর দিকে মাথা উচু করে তাকে ডাকলেন। বললেন, হে জুরায়জ! আমি -তোমার মা, আমার সাথে কথা বল। এই কথা এমন অবস্থায় বলছিলেন, যখন জুরায়জ সালাতে মশগুল ছিলেন। তখন তিনি মনে মনে বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! (একদিকে) আমার মা আর (অপর দিকে) আমার সালাত (আমি কী করি।)”। রাবী বলেন-অবশেষে তিনি তাঁর সালাতকে অগ্রাধিকার দিলেন। এবং তার মা ফিরে গেলেন। পরে তিনি দ্বিতীয়বার আসলেন এবং বললেন, হে জুরায়জ! আমি তোমার মা, তুমি আমার সংগে কথা বল। তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ! আমার মা, আমার সালাত। তখন তিনি তাঁর সালাতে মশগুল রইলেন। তখন তাঁর মা বললেন, হে আল্লাহ! এই জুরায়জ আমারই ছেলে। আমি তার সংগে কথা বলতে চাচ্ছিলাম। সে আমার সংগে কথা বলতে অস্বীকার করল। হে আল্লাহ! তার মৃত্যূ দিয়ো না, যে পর্যন্ত না তাকে ব্যভিচারিনী দেখাও। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি তাঁর মাতা তার বিরুদ্ধে অন্য কোন বিপদে পতিত হওয়ার বদ দুআ করত তাহলে অবশ্যই সে সেই বিপদে পতিত হত। (সহীহ মুসলিম-২৫৫০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মা বাবা যদি তার সন্তানের উপর ন্যায়সঙ্গত ভাবে বদ দু'আ করে থাকে, তাহলে অবশ্যই সেই দু'আ কবুল হবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। তবে মা বাবা অন্যায়ভাবে বদ দু'আ করলে সেই বদ দু'আ কবুল হবে না।
(২)
এগুলো কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
(৩)
প্রশ্নটি সম্পূর্ণই অস্পষ্ট।সুতরাং আবার প্রশ্ন করুন।
(৪)
এক রোযাকে এক নিয়তেই আদায় করতে হবে। একাধিক নিয়তে কোনো রোযাকে পালন করা যাবে না।
(৫)
যদি বাংলায় লিখতেন, তাহলে বুঝতাম। যাইহোক যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকে বলছি...
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1037
(৬)
এখানে ফরয ওয়াজিব কিছুই বলা যাবেনা। হ্যা, মনযোগ সহকারে পড়াটা অবশ্যই জরুরী।