আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
1,668 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (0 points)
edited by
১)আহলে হাদিসদের বিভ্রান্ত কেনো বলা হয়? তারা কী আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের  অন্তর্ভুক্ত নয়?তাদের সমস্যাগুলো কোন জায়গায়?অনেক জায়গায় শুনি সালাফিদেরও আহলে হাদিস বলা হয়,আবার অনেক জায়গায় আলাদা করে বলা হয়।এইটা একটু বিস্তারিত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করবেন।

   
২) সালাফি ও আহলে হাদিসদের মাঝে কী কোনো পার্থক্য আছে?তাদের মাঝে বেশীরভাগ জিনিস ই মিল আছে।যদি বড় কোনো তফাত না থাকে তাহলে তারা নিজেদের দুটো আলাদা নামে পরিচয় কেনো দেয়?

৩)তখন এইসব মাযহাবি-লা মাযহাবি নিয়ে,বাতিল দলগুলো নিয়ে আমার জ্ঞান ছিলো না। আহলে হাদিস আলেম 'আসাদুল্লাহ আল গালিব' এর  "সালাতুর রসুল(সা.)" নামে একটা বই পড়ে অনেক প্রভাবিত হয়েছিলাম,বিশেষ করে নামাজের ক্ষেত্রে।রাফঊল ইয়াদাইন,আমীন জোরে পড়া,জামাতে নামাজে সূরা ফাতিহা পড়া এইসব কিছু মানা শুরু করি।অনেককেই আমি নিজে বলে বলে, ঐ বইটা পড়তে দিয়ে তাদেরকেও প্রভাবিত করেছিলাম।তারাও নামাযের ক্ষেত্রে আহলে হাদিসদের সব দলিল  মানা শুরু করে।পরে জানতে পারলাম,আহলে হাদিসদের সমস্যা আছে অনেক।এখন কী আমি তাদেরকে(যারা আমার দারা প্রভাবিত হয়েছে) আবার আগের মতো(হানাফি মাযহাব) নামাজ পড়া শুরু করতে বলব?

আমার কী গুনাহ হচ্ছে তাদেরকে আহলে হাদিসদের দিকে প্রভাবিত করার জন্য?

1 Answer

+2 votes
by (590,550 points)
reshown by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে আহলে হাদীস সম্প্রদায় মেনে থাকেন।সেজন্য তাদেরকে আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ বলা যাবে না।তবে যেহেতু তারা তাকলীদ সম্পর্কে ইজমায়ে উম্মতের খেলাফ অবস্থান করেন,এবং মুকাল্লিদ উলামায়ে কেরামদেরকে ভালমন্দ বলে থাকেন,তাই তাদেরকে দিকে উলামায়ে করাম নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে থাকেন। 

সালাফ মূলত হাম্বলী মাযহাবের এক অংশকে বলা হয়, যারা ব্যক্তি তাকলীদ করেন না।তবে তারা মুকাল্লিদদেরকে ভালমন্দ কিছু বলেন না।
যেহেতু সালাফদের মত আহলে হাদীস সম্প্রদায় তাকলীদ করেন না,তাই কেউ কেউ আহলে হাদীস সম্প্রদায়কে ও সালাফী বলে থাকেন।

(২)
সালাফিরা মূলত হাম্বলী মাযহাবের একাংশ যারা ব্যক্তি তাকলীদ করেন না।তবে তারা অন্যদেরকে ভালমন্দ কিছু বলেন না।আর আহলে হাদীস সম্পর্কে শুনা যায় যে,তারা তাদের মতাদর্শের খেলাফদের সম্পর্কে ভালমন্দ বলে থাকেন।এটাই পার্থক্য। 

(৩)
জ্বী,তাদেরবে আবার হানাফি মাযহাব মতে নামায পড়ার কথা বলতে পারেন।তবে অতীতে যা পড়া হয়েছে,সেগুলোও হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।সুতরাং সেগুলোও কবুল হবে।এর জন্য কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
জাযাকাল্লহ শাইখ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...