আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
569 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (22 points)
closed by
1) মুজিযা, কারামাত ও ইস্তিদরাস নিয়ে কিছু বলেন। ইস্তিদরাস এর সাথে তফাত কি অন্যদের

২)ইসমাতুল আম্বিয়া,আহলে বাইত ,মানে কি
closed

1 Answer

+1 vote
by (657,800 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
আল্লাহ তা‘আলার হুকুমে তাঁদের দ্বারা অনেক অসাধারণ ও অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ঐ সব ঘটনাকে মু‘জিযা বলে।

আল্লামা মীর সায়্যিদ শরীফ জুরজানী রাহ. মু‘জিযার সংজ্ঞায় বলেন,
المعجزة أمر خارق للعادة داعية إلى الخير والسعادة مقرونة بدعوى النبوة، قصد به إظهار صدق من ادعى أنه رسول من الله.
মু‘জিযা এমন বিষয়, যা অলৌকিক বা সাধারণ ও চিরাচরিত নিয়মের ব্যতিক্রমরূপে প্রকাশ পায় এবং কল্যাণ ও সৌভাগ্যের প্রতি আহ্বান করে, যা নবুওতের দাবির সাথে সংশ্লিষ্ট এবং তার দ্বারা এমন ব্যক্তির সত্যবাদিতা প্রকাশ করা উদ্দেশ্য, যিনি দাবি করেন যে, তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত। -আততা‘রীফাত, পৃ. ২২৫

আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহ. এভাবে মু‘জিযার সংজ্ঞা পেশ করেছেন-
أمر خارق للعادة، مقرون بالتحدي سالم عن المعارضة.
মু‘জিযা এমন বিষয়, যা অলৌকিক বা সাধারণ ও চিরাচরিত নিয়মের ব্যতিক্রম, প্রতিদ্বন্দ্বিতার আহ্বানযুক্ত এবং মোকাবিলার আশঙ্কামুক্ত। -আল ইতকান, খ. ৪, পৃ. ৩০৩

আল্লাহ তায়ালা  বলেন 

قَدْ جَآءَتْكُمْ بَیِّنَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ  هٰذِهٖ نَاقَةُ اللهِ لَكُمْ اٰیَةً.
তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে। আল্লাহর এ উটনী তোমাদের জন্য একটি নিদর্শন।’ -সূরা আ‘রাফ (৭) : ৭৩

فَذٰنِكَ بُرْهَانٰنِ مِنْ رَّبِّكَ اِلٰی فِرْعَوْنَ وَ مَلَاۡىِٕهٖ  اِنَّهُمْ كَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِیْنَ.
এ দু’টি (লাঠি সাপে পরিণত হওয়া এবং হাত বগলের নিচ থেকে শুভ্র হয়ে বের হওয়া) তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রমাণ (তথা নিদর্শন) ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের জন্য। নিশ্চয় তারা ছিল সত্যত্যাগী সম্প্রদায়। -সূরা কাসাস (২৮) : ৩২

تُرِیْدُوْنَ اَنْ تَصُدُّوْنَا عَمَّا كَانَ یَعْبُدُ اٰبَآؤُنَا فَاْتُوْنَا بِسُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ.
আমাদের পিতৃপুরুষগণ যাদের ইবাদত করতো, তোমরা তাদের ইবাদত হতে আমাদেরকে বিরত রাখতে চাও, অতএব তোমরা আমাদের নিকট কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ (তথা নিদর্শন) উপস্থিত কর। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ১০

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মু'জিযা, কারামত,ইসতেদরাজ সংজ্ঞা :
المعجزة : أمر خارق للعادة، داعية إلى الخير والسعادة، مقرونة بدعوى النبوة، قصد به إظهار صدق من ادعى أنه رسول من الله.
মু‘জিযা এমন বিষয়, যা অলৌকিক এবং সাধারণ ও চিরাচরিত নিয়মের ব্যতিক্রমরূপে প্রকাশ পায় এবং কল্যাণ ও সৌভাগ্যের প্রতি আহ্বান করে, যা নবুওতের দাবির সাথে সংশ্লিষ্ট এবং তার দ্বারা এমন ব্যক্তির সত্যবাদিতা প্রকাশ করা উদ্দেশ্য, যিনি দাবি করেন যে, তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত।
 
★কারামাতের সংজ্ঞা :
الكرامة : هي ظهور خارق للعادة غير مقارن لدعوى النبوة من قِبَلِ شخص مؤمن صالح ولي من أولياء الله تعالى.
কোনো মুমিন মুত্তাকী ও আল্লাহর ওলীর নিকট থেকে অলৌকিকভাবে সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম কোনো কিছু প্রকাশ পাওয়াকে কারামাত বলে।
,
(আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা হলো ওলী-বুযুর্গদের কারামত সত্য।) 
 
★ইসতিদরাজের সংজ্ঞা :
الاستدراج : ظهور أمر خارق للعادة من قِبَلِ من لا يكون مؤمنا ولا صالحا، بل من قِبَلِ الكافر أو الفاسق المجاهر على وفق غرضه. سمي به لأنه يوصله بالتدريج إلى النار.
মুমিন বা মুত্তাকী নয়; বরং কাফের অথবা প্রকাশ্য ফাসেক কোনো ব্যক্তির নিকট থেকে অলৌকিকভাবে সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম বিস্ময়কর কিছু প্রকাশ পাওয়াকে ইসতিদরাজ বলে, যা তার দাবির অনুকূলে হয়।
এরূপ বিষয়কে এজন্য ইসতিদরাজ বলা হয় যে, এটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।

★সবগুলোর মাঝে পার্থক্যঃ

أقسام الخوارق سبعة، أحدها : المعجزة من الأنبياء، ثانيها : الكرامة للأولياء، ثالثها : المعونة لعوام المؤمنين ممن ليس فاسقا ولا وليا، رابعها : الإرهاص للنبي قبل أن يبعث، كتسليم الأحجار على النبي صلى الله عليه وآله وسلم، وأدرجه بعضهم في الكرامة وبعضهم في المعجزة مجازا، خامسها : الاستدراج للكافر والفاسق المجاهر على وفق غرضه، سمي به لأنه يوصله بالتدريج إلى النار، سادسا : الإهانة للكافر والفاسق على خلاف غرضه كما ظهر عن مسيلمة الكذاب إذ تمضمض في ماء فصار ملحا، ومس عين الأعور فصار أعمى، سابعها : السحر لنفس شريرة تستعمل أعمالا مخصوصة بإعانة الشيطان، ومنهم من لا يعده خارقا  لأن العادة جارية بظهوره عن كل من يزاول هذه الأعمال، والكهانة من السحر وهي الإخبار بما سمع من الجن.
খাওয়ারিক অর্থাৎ মানুষের নিকট থেকে প্রকাশ পাওয়া সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম বিষয়াদি সাত প্রকার: ১. মু‘জিযা, যা নবীগণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ২. কারামত, যা ওলীদের নিকট থেকে প্রকাশ পায়। ৩. মাউনত যা ফাসেক বা ওলী নয় এমন সাধারণ মুমিনের নিকট থেকে প্রকাশ পায়। ৪. ইরহাস যা নবুওতপ্রাপ্তির পূর্বে নবীর নিকট থেকে প্রকাশ পায়। যেমন পাথর কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম করা। কেউ কেউ এটাকে কারামাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, আর কেউ মু‘জিযার মধ্যে, মাজায স্বরূপ। ৫. ইসতিদরাজ যা কাফেরের অথবা প্রকাশ্য পাপাচারী ব্যক্তির নিকট থেকে তার উদ্দেশ্যের অনুকূলে প্রকাশ পায়। এটাকে এজন্য ইসতিদরাজ বলা হয় যে, এটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ক্রমে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। ৬. ইহানত যা কাফের বা পাপাচারী ব্যক্তির নিকট থেকে তার উদ্দেশ্যের বিপরীতে প্রকাশ পায়। যেমন মুসায়লামা কাযযাবের (যে মিথ্যা নবুওতের দাবি করেছিল) নিকট থেকে প্রকাশ পেয়েছিল যখন সে একবার পানিতে কুলি নিক্ষেপ করলো, কিন্তু পানির লবণাক্ততা দূরীভূত হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি লবণাক্ত হয়ে যায়। (এমনিভাবে সে একবার কূপের পানি বৃদ্ধি করার জন্য কূপের পানিতে কুলি নিক্ষেপ করে ফলে কূপের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পরিবর্তে আরও শুকিয়ে যায়।) একবার এক ব্যক্তির কানা চোখ সুস্থ করার জন্য হাতের ছোঁয়া দেয়, ফলে তার উভয় চোখ অন্ধ হয়ে যায়। ৭. জাদু যা শয়তানের সাহায্যে কিছু বিশেষ কর্মকা- সম্পাদন বা কিছু উপায়-উপকরণ অবলম্বনের মাধ্যমে মন্দ প্রকৃতির লোকের নিকট থেকে প্রকাশ পায় এটাকে কেউ কেউ খাওয়ারিক অর্থাৎ সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রমী বিষয়াদির মধ্যে গণ্য করেননি। কারণ, যে কোনো ব্যক্তি উক্ত বিশেষ কর্মকা- সম্পাদন করে অথবা বিশেষ কিছু উপায়-উপকরণ অবলম্বন করে তার দ্বারা এরূপ ব্যতিক্রম কিছু প্রকাশ করা সম্ভব। আর কাহানাত (রাশি গণনা বা ভাগ্য গণনা) জাদুর অন্তর্ভুক্ত। কাহানাত হল জিনদের সাহায্যে অদৃশ্য বিষয়ের সংবাদ বলা। -আন নিবরাস, পৃ. ২৭২

(০২) ইসমতে আম্বিয়া মানে নবীগন মাসুম।

পয়গাম্বরগণ সকলেই মাসুম বা নিষ্পাপ। তাঁরা কোন প্রকার পাপ করেন না। নবীগণ মানুষ। তাঁরা খোদা নন। খোদার পুত্র নন। খোদার রূপান্তর (অবতার) নন। বরং তাঁরা হলেন আল্লাহর প্রতিনিধি। নবীগণ আল্লাহর বাণী হুবহু পৌঁছে দিয়েছেন। 
,
★আহলে বায়েত সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ    
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَشُجَاعُ بْنُ مَخْلَدٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي أَبُو حَيَّانَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ حَيَّانَ، قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَحُصَيْنُ، بْنُ سَبْرَةَ وَعُمَرُ بْنُ مُسْلِمٍ إِلَى زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ فَلَمَّا جَلَسْنَا إِلَيْهِ قَالَ لَهُ حُصَيْنٌ لَقَدْ لَقِيتَ يَا زَيْدُ خَيْرًا كَثِيرًا رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَمِعْتَ حَدِيثَهُ وَغَزَوْتَ مَعَهُ وَصَلَّيْتَ خَلْفَهُ لَقَدْ لَقِيتَ يَا زَيْدُ خَيْرًا كَثِيرًا حَدِّثْنَا يَا زَيْدُ مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - يَا ابْنَ أَخِي وَاللَّهِ لَقَدْ كَبِرَتْ سِنِّي وَقَدُمَ عَهْدِي وَنَسِيتُ بَعْضَ الَّذِي كُنْتُ أَعِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا حَدَّثْتُكُمْ فَاقْبَلُوا وَمَا لاَ فَلاَ تُكَلِّفُونِيهِ . ثُمَّ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فِينَا خَطِيبًا بِمَاءٍ يُدْعَى خُمًّا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَوَعَظَ وَذَكَّرَ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ أَلاَ أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَ وَأَنَا تَارِكٌ فِيكُمْ ثَقَلَيْنِ أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ فَخُذُوا بِكِتَابِ اللَّهِ وَاسْتَمْسِكُوا بِهِ " . فَحَثَّ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَرَغَّبَ فِيهِ ثُمَّ قَالَ " وَأَهْلُ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي " . فَقَالَ لَهُ حُصَيْنٌ وَمَنْ أَهْلُ بَيْتِهِ يَا زَيْدُ أَلَيْسَ نِسَاؤُهُ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ قَالَ نِسَاؤُهُ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ وَلَكِنْ أَهْلُ بَيْتِهِ مَنْ حُرِمَ الصَّدَقَةَ بَعْدَهُ . قَالَ وَمَنْ هُمْ قَالَ هُمْ آلُ عَلِيٍّ وَآلُ عَقِيلٍ وَآلُ جَعْفَرٍ وَآلُ عَبَّاسٍ . قَالَ كُلُّ هَؤُلاَءِ حُرِمَ الصَّدَقَةَ قَالَ نَعَمْ .

যুহায়র ইবনু হারব ও শুজা ইবনু মাখলাদ (রহঃ) ... ইয়াযীদ ইবনু হায়্যান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি, হুসায়ন ইবনু সাবুরা এবং উমার ইবনু মুসলিম-- আমরা যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) এর নিকট গেলাম। আমরা যখন তার কাছে বসি, তখন হুসায়ন বললেন, হে যায়দ! আপনি তো বহু কল্যাণ প্রত্যক্ষ করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছেন, তাঁর হাদীস শুনেছেন, তার পাশে থেকে যুদ্ধ করেছেন এবং তাঁর পেছনে সালাত আদায় করেছেন। আপনি বহু কল্যাণ লাভ করেছেন, হে যায়দ! আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা শুনেছেন, তা আমাদের বলুন না। যায়দ (রাঃ) বললেন, ভ্রাতূষ্পূত্র! আমার বয়স হয়েছে, আমি পুরানো যুগের মানুষ। সুতরাং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে যা আমি সংরক্ষণ করোছিলাম, এর কিছু অংশ ভুলে গিয়েছি। তাই আমি যা বলি, তা কবুল কর আর আমি যা না বলি, সে ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দিও না।

তারপর তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী “খুম্ম” নামক স্থানে দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন। আল্লাহর প্রশংসা ও সানা বর্ণনা শেষে ওয়ায-নসীহত করলেন। তারপর বললেন, সাবধান, হে লোক সকল! আমি একজন মানুষ, আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফিরিশতা আসবে, আর আমিও তাঁর ডাকে সাড়া দেব। আমি তোমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দুটো জিনিস রেখে যাচ্ছি। এর প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব। এতে হিদায়াত এবং নূর রয়েছে। সুতরাং তোমরা আল্লাহর কিতাবকে অবলম্বন কর, একে শক্ত করে ধরে রাখো। এরপর কুরআনের প্রতি আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা দিলেন।

তারপর বললেনঃ আর হলো আমার আহলে বাইত। আর আমি আহলে বাইতর ব্যাপারে তোমাদের আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আহলে বাইতর ব্যাপারে তোমাদের আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আহলে বাইতর ব্যাপারে তোমাদের আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। হুসায়ন বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর 'আহলে বাইত' কারা, হে যায়দ? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিবিগণ কি আহলে বাইতর অন্তভুক্ত নন?

যায়দ (রাঃ) বললেন, বিবিগণও আহলে বাইতর অন্তর্ভুক্ত; তবে আহলে বাইত তাঁরাই, যাদের উপর যাকাত গ্রহন হারাম। হুসায়ন বললেন, এ সব লোক কারা? যায়দ (রাঃ) বললেন, এরা আলী, আকীল, জাফের ও আব্বাস (রাঃ) এর পরিবার-পরিজন। হুসায়ন বললেন, এদের সবার জন্য যাকাত হারাম? যায়দ (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ।
(মুসলিম শরীফ ৬০০৭)
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، قَالَتْ قَالَتْ عَائِشَةُ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غَدَاةً وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعْرٍ أَسْوَدَ فَجَاءَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَأَدْخَلَهُ ثُمَّ جَاءَ الْحُسَيْنُ فَدَخَلَ مَعَهُ ثُمَّ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَأَدْخَلَهَا ثُمَّ جَاءَ عَلِيٌّ فَأَدْخَلَهُ ثُمَّ قَالَ { إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا}
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নূমায়র (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালে বের হলেন। তাঁর গায়ে ছিলো কাল পশম দ্বারা খচিত একটি পশমী চাঁদর। হাসান ইবনু আলী (রাঃ) এলেন, তিনি তাঁকে চাঁদরের ভেতর ঢুকিয়ে নিলেন। হুসায়ন ইবনু আলী (রাঃ) এলেন, তিনিও তার সঙ্গে (চাদরে) ঢুকে পড়লেন। ফাতিমা (রাঃ) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললেন। অতঃপর আলী (রাঃ) এলেন, তাঁকেও ভেতরে ঢুকিয়ে নিলেন। পরে বললেনঃ হে আহলে বাইত! আল্লাহ তাআলা তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে বিদুরিত করে তোমাদের অতিশয় পবিত্রময় করতে চান।
(মুসলিম শরীফ ৬০৪৩)
,
সুতরাং ‘আহলে বায়েত’ বলতে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে, যাদের উপর চিরদিন ছাদাক্বা গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। তাঁরা হ’লেন, আলী, ‘আক্বীল, জা‘ফর ও আববাস (রাঃ)-এর বংশধরগণ’ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...