বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
রুকু থেকে উঠার সময় রাব্বা-না লাকাল হামদ পড়া সুন্নাত।
,
হাদীস শরিফে এসেছেঃ-
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَقَطَ مِنْ فَرَسٍ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ يَعُودُونَهُ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " .
হান্নাদ ইবনু সাররী (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে (একদা) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া থেকে ডানদিকে পড়ে গেলেন। লোক তাকে দেখতে (তার ঘরে) প্রবেশ করল। ইতিমধ্যে সালাতের সময় উপস্থিত হলে। তিনি সালাত শেষ করে বললেনঃ ইমাম বানানো হয় তার অনুসরণ করার জন্য। যখন তিনি রুকু করেন, তখন তোমরাও রুকু করবে। আর যখন মাথা উঠান, তোমরাও মাথা উঠাবে আর যখন সিজদা করেন, তোমরাও সিজদা করবে। আর যখন ইমাম "সামিআল্লাহু লিমান হামিদা" বলেন, তখন তোমরা বলবে "রাব্বানা লাকাল হামদ।"
(সহিহ, বুখারি হাঃ ৮০৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৮১৬ ইবনু মাজাহ হাঃ ১৪৩৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইমামের পিছনে হোক বা একাকী নামাজ আদায় কারী হোক, রুকু থেকে উঠার সময় রাব্বা-না লাকাল হামদ পড়া সুন্নাত।
এটি কোনো ফরজ বা ওয়াজিব বিধান নয়।
এটি না বলা হলেও নামজা শুদ্ধ হয়ে যাবে।
এটি না বললে কোনো সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়না।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজে সেজদায়ে সাহু দেয়া ঠিক হয়নি।
★তবে উক্ত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
সেটি পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(০২)
এক মুষ্ঠি রাখতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/3975/
https://ifatwa.info/26453/
(০৩)
ওয়াক্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেহেতু আপনার এই অবস্থা চলমান রয়েছে,তাই আপনি মা'যুর, এভাবেই নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আপনি ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন,দেখবেন ভালো হয় কিনা।
আগের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
(০৪)
হ্যাঁ এমতাবস্থায় রোযা রাখতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।