আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
727 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (37 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
উস্তাদ,

  1. কোনো রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ এর উপর ভরসা করে কোনো তাবিজে কোনো ঔষধি গাছের অংশ ভিতরে রেখে ব্যবহার করা যাবে কিনা? উল্লেখ্য যে,ঐ তাবিজে কুরআনের কোনো আয়াত বা দোয়া নেই।
  2. কোনো হারাম উপার্জনকারী ব্যক্তির সন্তানকে জেনারেল পড়া পড়িয়ে পাওয়া  টাকা টিউটরের জন্য হালাল হবে কিনা?
  3. স্কুলে পড়ুয়া বালক বালিকাদের পুরুষ শিক্ষক দ্বারা একসাথে পড়ানো যাবে কিনা,ইনকাম হালাল হবে কিনা?অথবা, পুরুষ শিক্ষক মেয়েদের আলাদা ব্যাচে পড়ালেও পড়ানো যাবে কিনা, ইনকাম হালাল হবে কিনা? জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ
(১)আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন- 226
সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে ঔষধী গাছের অংশ বিশেষ দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেন।

(২)টিউটর যে টাকা নিচ্ছেন,তা উনি শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছেন।তাই বৈধ শ্রমের বিনিময়ে হওয়ার কারণে টিউটরের জন্য টাকা নেয়া বৈধ হবে।গোনাহগার তিনিই হবেন,যিনি হারাম উপায়ে ঐ টাকাগুলো উপার্জন করেছেন।

(৩)পড়ানোর বিনিময়ে বেতন দেওয়া হয়, তাই উনি যদি সহশিক্ষা সম্ভলিত কলেজ/ভার্সিটির নিয়ম অনুসারে কোনো প্রকার অবহেলা-অলসতা না করে ঠিকমত পড়ান,তাহলে যে বেতন পাবেন সেটা অবশ্য উনার জন্য হালাল হবে।তবে শরয়ী পর্দা না করলে সর্বদা পর্দা লঙ্গনের গোনাহে লিপ্ত থাকবেন।জানুন- 2902

পুরুষ শিক্ষক যদি মেয়েদেরকে আলাদা ব্যাচে পড়ান,এবং পর্দা রক্ষা না করেন,তাহলে পর্দা তরক করার গোনাহ উনার অবশ্যই হবে।এর জন্য উনাকে আখেরাতে জবাব দিতে হবে।তবে উনি যদি অবহেলা না করে বরং হক আদায় করে পড়ান,তাহলে বেতন বৈধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (37 points)
উস্তাদ,
পুরুষ শিক্ষক মেয়েদের আলাদা ব্যাচে পড়ালে এবং মেয়েরা সবাই বোরকা নিকাপ ব্যবহার করে প্রয়োজন মোতাবেক লিমিটেড কথা বলে এভাবে পড়লে কি পর্দার বিষয় টা আদায় হবে এক্ষেত্রে ?  যাতে গুনাহ না হয়। 
অথবা ছেলে মেয়ে একসাথে পড়লে কিন্তু কেউ কারো সাথে কথা না বললে,  মেয়েরা পর্দা করে এসে শুধু শিক্ষকের সাথে পড়া বুঝতে কথা বললে তখন কি পর্দার হক আদায় হবে?  যাতে গুনাহ না হয়।
জাজাক আল্লাহ
by (715,680 points)
জ্বী , এক্ষেত্রে পর্দার হক আদায় হবে।তবে লেখা-পড়ার উদ্দেশ্য একামাত্র ইসলাম এবং মুসলমানের খেদমত করা থাকতে হবে।নতুবা সহ-শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
by (37 points)
উস্তাদ,
এক্ষেত্রে একমাত্র ইসলাম এবং মুসলমানের খেদমত করার নিয়ত রেখে মুসলিম মেয়েদের সাথে কোনো হিন্দু মেয়েও পড়ানো যাবে কিনা যদি তারা পর্দার হক আদায়ের নিয়ম মেনে পড়তে আসে ? 

জাজাক আল্লাহ
by (715,680 points)
হিন্দু মেয়েকে পড়ানো যাবে না।
by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
উস্তাদ,জেনারেল শুক্ষায় শুধু মুসলিম ছেলেদের ব্যাচে অল্প সংখ্যক  হিন্দু ছেলেদের সাথে পড়ানো যাবে কিনা? 
জাজাক আল্লাহ।

by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
জ্বী,পড়ানো যাবে।দাওয়াতের নিয়ত রাখলে সওয়াবের আশাও করা যাায়

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...