ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ(১)আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন-
226 সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে ঔষধী গাছের অংশ বিশেষ দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেন।
(২)টিউটর যে টাকা নিচ্ছেন,তা উনি শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছেন।তাই বৈধ শ্রমের বিনিময়ে হওয়ার কারণে টিউটরের জন্য টাকা নেয়া বৈধ হবে।গোনাহগার তিনিই হবেন,যিনি হারাম উপায়ে ঐ টাকাগুলো উপার্জন করেছেন।
(৩)পড়ানোর বিনিময়ে বেতন দেওয়া হয়, তাই উনি যদি সহশিক্ষা সম্ভলিত কলেজ/ভার্সিটির নিয়ম অনুসারে কোনো প্রকার অবহেলা-অলসতা না করে ঠিকমত পড়ান,তাহলে যে বেতন পাবেন সেটা অবশ্য উনার জন্য হালাল হবে।তবে শরয়ী পর্দা না করলে সর্বদা পর্দা লঙ্গনের গোনাহে লিপ্ত থাকবেন।জানুন-
2902
পুরুষ শিক্ষক যদি মেয়েদেরকে আলাদা ব্যাচে পড়ান,এবং পর্দা রক্ষা না করেন,তাহলে পর্দা তরক করার গোনাহ উনার অবশ্যই হবে।এর জন্য উনাকে আখেরাতে জবাব দিতে হবে।তবে উনি যদি অবহেলা না করে বরং হক আদায় করে পড়ান,তাহলে বেতন বৈধ হবে।