আসসালামু আলাইকুম, শায়েখ।
(আমি দুঃখিত কারণ প্রশ্নটা অনেক বড়। একটু সবর করে পড়বেন বলে আশা করি।)
আল্লাহ তাআ'লার অশেষ রহমতে ২-২.৫ বছর আগে আমি ঈমানের পথে চলা শুরু করি।দিনেদিনে ঈমান, আমল এর পথে আমি অনেক দৃঢ় হয়ে উঠি। আল্লাহর রহমতে আখিরাত নিয়ে আমার চিন্তা ভাবনা বাড়ে এবং যুহদ দৃঢ় হয়।
কিন্তু জীবনে একটা বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর থেকে আমার লাইফে হঠাৎ অনেক পরিবর্তন চলে আসে। কলেজ জীবনে পা দেওয়ার পর আমাকে অনেকটাই দুনিয়ামুখী হতে হয়েছে। সেই সাথে স্কুল জীবনে থাকা সৎসঙ্গীগুলো হারিয়েছি। কলেজের প্রথম এক বছর কেটে যায় শুধু এটা ভেবেই যে পড়াশোনায় বেশি ঝুকে গেলে দ্বীন থেকে সরে যাব। হঠাৎ যুহদী মানসিকতা থেকে দূর হয়ে দুনিয়ার চিন্তা করতে গিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
সাম্প্রতিক সময়ে এই মহামারির পরিবেশ আমাকে আরো দূর্বল করে দিয়েছে।পড়াশোনার ব‍্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দিশেহারা হয়ে অলস জীবনযাপন করে ৬-৭ টা মাস আমি নষ্ট করে ফেলেছি।সেজন‍্য হতাশা তো আছেই। সাথে সাথে সেই বছর খানেক আগে থেকে শুরু হওয়া ঈমানী অধঃপতন তো আছেই। দিনের পথে দৃঢ় হতে পারছিনা।
-শারীরিকভাবে কিছু অসুস্থতার কারণে দেখা যায় এক ওয়াক্তের সলাত কয়েকবার পড়া লাগে। কারণ মাযুর পর্যায়ে আমার সমস‍্যা পৌছায় না। সলাত আদায় করে তাই প্রশান্তি পাই না।
-ইবাদত করার সময় শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয় -" আমি এসব আল্লাহর তাআ'লার সন্তুষ্টির জন‍্য করছি না বরং অভ‍্যাস হয়ে গেছে তাই করি"
-কথা কাজে শিরকী কুফরী কিছু বলে ফেললাম করে ফেললাম বলে সবসময় মনে হয়।
-দ্বীনি / দুনিয়াবি কোনো কাজে নিয়তে দৃঢ়তা পায়না। হতাশা হয়।
-সালাত, যিকির করতে গেলে পড়াশোনা আর ভবিষ্যৎ চিন্তা আমাকে হতাশ করে ফেলে।আবার ঈমানের নাজুক দশা আমাকে পড়াশোনায় মন দেওয়া থেকে দূরে রাখে।দিনদিন হতাশায় শুধু বাড়ে।
-সালাত,দুআ,যিকির করার সময় ওয়াওয়াসা হয়-" আমি তওবা করি পরের মুহূর্তে একি পাপ করি। বারবার একি ফাদে পা দিই। আল্লাহ তাআলা আমার দুআ কবুল করবেন না।কি লাভ এগুলো করে।আল্লাহ তাআলা আমার কাছ থেকে কবুল করছেন না "
শায়েখ এসব সমস‍্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে নসিহত করুন। নিশ্চয় উপদেশ মুমিনের উপকার করে।জাযাকাল্লাহু খায়রান।