বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَبَا رَيْحَانَةَ يَقُولُ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ الْوَشْرَ، وَالْوَشْمَ، وَالنَّتْفَ
হযরত আবূ রায়হানা রাঃ বলেন, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁতকে চিকন করতে উল্কি আঁকতে এবং চুল উপড়ে ফেলাকে হারাম করেছেন। [সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৫১১০]
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «لَعَنَ اللَّهُ الوَاشِمَاتِ وَالمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالمُتَنَمِّصَاتِ وَالمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ، المُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ» مَا لِي لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে যে নারী উলকী উৎকীর্ণ করে ও করায়, যে নারী ভ্রƒ উপড়ে ফেলে এবং যে নারী দাঁত কেটে সরু করে দাঁরে মাঝখানে ফাঁক বানায়, যে কাজগুলি দ্বারা আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে পরিবর্তন সাধিত হয়, এদের উপর আল্লাহ তাআলা অভিশাপ বর্ষণ করুন। আমি কেন তার উপর অভিশাপ বর্ষন করবো না, যাদের উপর আল্লাহর রাসূল অভিশাপ বর্ষণ করেছেন। সেই সাথে তা আল্লাহ তাআলার কিতাবেই বিদ্যমান আছে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৯৪৩, ৫৫৯৯, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১৪৬৭}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুখে তিল বসানো কবিরা গুনাহ।
★হ্যাঁ উঠিয়ে ফেলা সম্ভব হলে উঠিয়ে ফেলতে হবে।
★অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মতে এতে ক্ষতি হলে তাহা রাখা যাবে,তবে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।
(০২)
সেই লাভের টাকা সূদ হবে।
★ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া তাহা গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
★বীমা চালিয়ে গেলে তাহা থেকে কর্তৃপক্ষ সূদ খাবেই।
তাই তাহা ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব হলে ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
(০৩)
মুফতি সাহেবের হালালের ফতোয়ার পরেও দ্বীধা থাকলে তাহা করবেননা।
তবে সেকাজ হারাম হবেনা।
★ওয়াসওয়াসার রোগীরা দ্বীধা উপেক্ষা করে বিজ্ঞ মুফতি সাহেবদের ফতোয়া মোতাবকে কাজটি হালাল হলে সেটি করবে।
(০৪)
হালাল কাজ থেকে দূরে থাকতে হবেনা।
(০৫)
তার থেকে অনুমতি নিয়ে এটি করতে হবে,নতুবা জায়েজ হবেনা।
(০৬)
অনিচ্ছায় কুফরি কথা বের হলে ঈমান চলে যাবেনা।