আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
১/মুখে তিল বসানো কি কবিরা গুনাহ?

★ আর যদি আগে কেউ না জেনে বসিয়ে ফেলে তাহলে কি উঠিয়ে ফেলতে হবে?
★উঠাইতে গেলে যদি ক্ষতি হয় তাহলে কি রাখা যাবে?

২/পোস্ট অফিসে ১৫ বছরের বীমা করা হলে। সেই বীমার টাকা জমা দেওয়া শেষ হলে জমার টাকা থেকে কিছু পরিমান টাকা লাভ দেয় সেই টাকা কি সুদ হবে?
★সেই লাভের টাকা কি সোওয়াব এর নিয়ত ছাড়া দান করে দিলে হবে?
★সেই বীমা কি চালিয়ে যেতে পারবে নাকি ভেঙে ফেলতে হবে?

৩/

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

★উপরের হাদিসের আলোকে যদি কোনো মুফতি সাহেব যদি কোনো কাজকে হালাল ফতোয়া দেয় সেই কাজের প্রতি অন্তর যদি দিধাদন্দ থাকে তাহলে কি সেই কাজ হারাম হবে?

★উপরের হাদিস কি ওসওয়াসা রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে কি। কারন ওসওয়াসা রোগীরা সব ক্ষেত্রে দিধাদেন্ধ থাকে?

 ৪/সন্দেহ যুক্ত জিনিস থেকে কি দুরে থাকতে বলা হয়েছে।যদি ওসওয়াসা রোগী হয় তাহলে কি দুরে থাকবে। কারন ওসওয়াসা রোগীদের সকল বিষয়ে সন্দেহ হয় হালাল হোকনা কেন?

৫/  আমার বোনের কিছু প্রশ্ন ছিল কিন্তু উনি আইডি খুলতে আমি বলছি আপনার নামে আইডি খুলে দিয়ে আমি প্রশ্ন করি উনি করতে বলছে। বোনের আইডি থেকে বোনের প্রশ্নের সাথে উনাকে না বলে  আমার কিছু   প্রশ্ন করি তাহলে কি গুনাহ হবে আমি প্রায় সিওর যে উনি কিছু মনে করবেনা।

৬/অন্য কথা বলতে গিয়ে অনিচ্ছায় মুখ দিয়ে কুফরি কথা বের হয়ে গেলে কি ইমান চলে যাবে

1 Answer

0 votes
by (574,560 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ


أَبَا رَيْحَانَةَ يَقُولُ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ الْوَشْرَ، وَالْوَشْمَ، وَالنَّتْفَ

হযরত আবূ রায়হানা রাঃ বলেন, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁতকে চিকন করতে উল্কি আঁকতে এবং চুল উপড়ে ফেলাকে হারাম করেছেন। [সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৫১১০] 

عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «لَعَنَ اللَّهُ الوَاشِمَاتِ وَالمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالمُتَنَمِّصَاتِ وَالمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ، المُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ» مَا لِي لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে যে নারী উলকী উৎকীর্ণ করে ও করায়, যে নারী ভ্রƒ উপড়ে ফেলে এবং যে নারী দাঁত কেটে সরু করে দাঁরে মাঝখানে ফাঁক বানায়, যে কাজগুলি দ্বারা আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে পরিবর্তন সাধিত হয়, এদের উপর আল্লাহ তাআলা অভিশাপ বর্ষণ করুন। আমি কেন তার উপর অভিশাপ বর্ষন করবো না, যাদের উপর আল্লাহর রাসূল অভিশাপ বর্ষণ করেছেন। সেই সাথে তা আল্লাহ তাআলার কিতাবেই বিদ্যমান আছে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৯৪৩, ৫৫৯৯, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১৪৬৭}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুখে তিল বসানো কবিরা গুনাহ।

★হ্যাঁ উঠিয়ে ফেলা সম্ভব হলে উঠিয়ে ফেলতে হবে।

★অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মতে এতে ক্ষতি হলে তাহা রাখা যাবে,তবে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।

(০২)
সেই লাভের টাকা সূদ হবে।

★ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া তাহা গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

★বীমা চালিয়ে গেলে তাহা থেকে কর্তৃপক্ষ সূদ খাবেই।
তাই তাহা ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব হলে ভেঙ্গে ফেলতে হবে।

(০৩)
মুফতি সাহেবের হালালের ফতোয়ার পরেও দ্বীধা থাকলে তাহা করবেননা।
তবে সেকাজ হারাম হবেনা।

★ওয়াসওয়াসার রোগীরা দ্বীধা উপেক্ষা করে বিজ্ঞ মুফতি সাহেবদের ফতোয়া মোতাবকে কাজটি হালাল হলে সেটি করবে।

(০৪)
হালাল কাজ থেকে দূরে থাকতে হবেনা।

(০৫)
তার থেকে অনুমতি নিয়ে এটি করতে হবে,নতুবা জায়েজ হবেনা।

(০৬)
অনিচ্ছায় কুফরি কথা বের হলে ঈমান চলে যাবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...