আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
reshown by
আমার  পিরিয়ড ৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল হয় এরপর ২২ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায়। ১৩ তম দিন পর আবার ব্লাড দেখা যায় তাই ইস্তেহাযা ভেবে সালাত রোজা কনটিনিউ করছি আজ ১৪ তন দিন হায়েজ শেষ হওয়ার পর। আমার প্রশ্ন হচ্ছে

১.কাল ১৫ তম দিন কি হায়েজ হিসেবে ধরব বা কিভাবে বুঝব যে হায়েজ নাকি ইস্তেহাযা কারন ৩ দিনের বেশি থাকবে কিনা জানি না এক্ষেত্রে সালাত রোজা কি কনটিনিউ করতে থাকব?
২.ইস্তেহাযা অবস্থায় সালাত এর সময় কি প্যড না কাপড় যেটায় নাপাকি আছে সেটা চেঞ্জ করে নিতে হবে সবসময়? আমি প্যড বা কাপড় চেঞ্জ না করে সালাত পড়েছি ১ দিন এতে কি সালাত গুলো কি শুদ্ধ হবে না আবার কাযা পড়ত্র হবে কি?

৩.সালাতের পর ওই ওযু দিয়ে কি কুরআন তিলাওয়াত বা নফল সালাত কন্টিনিউ করতে পারব পরবর্তী সালাত এর ওয়াক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/78

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
হায়েয যদি পূর্বের হায়েযের ১৫ দিন পর শুরু হয়, তাহলে রক্তস্রাব শুরু হওয়ার পর থেকেই আপনাকে নামায পরিত্যাগ করতে হবে। যদি তিন দিনের পূর্বে হায়েয বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে উক্ত নামাযকে কাযা করতে হবে।

(২)
ইস্তেহাযার রক্ত এক দিরহামের বেশী কাপড় বা প্যাডে লাগানো থাকলে, সেই কাপড় বা প্যাড দ্বারা নামায হবে না। সুতরাং প্রত্যেক ওয়াক্তে কাপড় বা প্যাড বদলাতে হবে।

(৩)
সালাতের পর ওই ওযু দ্বারা কুরআন তিলাওয়াত বা নফল সালাত  পরবর্তী সালাত এর ওয়াক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কন্টিনিউ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...