বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اخْتَلَفَ الْفُقَهَاءُ فِيمَا إِذَا أَدْرَكَتِ الْحَائِضُ أَوَّل الْوَقْتِ، بِأَنْ كَانَتْ طَاهِرًا ثُمَّ حَاضَتْ هَل تَجِبُ عَلَيْهَا تِلْكَ الصَّلاَةُ أَوْ لاَ؟ فَذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ إِلَى أَنَّهُ إِنْ طَرَأَ الْحَيْضُ فِي أَثْنَاءِ الْوَقْتِ سَقَطَتْ تِلْكَ الصَّلاَةُ، وَلَوْ بَعْدَ مَا افْتَتَحَتِ الْفَرْضَ.
أَمَّا لَوْ طَرَأَ وَهِيَ فِي التَّطَوُّعِ، فَإِنَّهُ يَلْزَمُهَا قَضَاءُ تِلْكَ الصَّلاَةِ.
ফুকাহায়ে কেরামের এ সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে যে,যখন কোনো মহিলার নামাযের কোনো ওয়াক্তের প্রথমে পবিত্র থাকবে,অতঃপর হায়েয চলে আসবে,তাহলে এই মহিলাকে কি ঐ ওয়াক্তের নামায কা'যা করতে হবে? হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত হল,যদি ওয়াক্তের মধ্যে হায়েয চলে আসে,তাহলে সেই ওয়াক্তের নামায আর পড়া লাগবে না।হ্যা যদি ফরয নামায শুরু করার পর হায়েয শুরু হয়,তাহলে তৎক্ষণাৎ নামাযকে ছেড়ে দিতে হবে।এবং এই নামাযকে আর পড়া লাগবে না।
আর যদি নফল নামাযে থাকাবস্থায় জায়েয শুরু হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে তখন ছেড়ে দিতে হবে।তবে এর কা'যা করা অত্যাবশ্যকীয়। (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-১৮/৩১৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নফল রোযা থাকাবস্থায় কিংবা নফল সালাত পড়াবস্থায় হায়েজ চলে আসলে,পবিত্র হওয়ার পর উক্ত নামায রোয কে কা'যা করতে হবে।কা'যা করা অত্যাবশ্যকীয়।