আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
282 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
হুজুর একবার আমার আম্মু ফকির বাড়ি গেসিলো,, গিয়েছিল আমার আব্বুর ব্যবসায় আমার চাচা ও থাকত।কিন্তু তারা একটু অন্য রকম ওদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছিল আব্বু কিন্তু কখনও আব্বুর নাম করত না।বেশি ফটম ফটম করত আর কি (বুঝানোর জন্য গিবত এর উদ্দেশ্য না) তো আম্মু এই জন্য ই যায়।ব্যবসা থেকে সরানোর জন্যই আম্মু যায়।

গিয়ে বলে আমাদের খায়, পরে অথচ আমাদের নাম নেয় না ইত্যাদি এই রকম কিছু বলে।পরে তারে নাকি তদবির দেয়, বলে যে হা মিম ইত্যাদি এমন কিছু তদবীর দেয়,মানে আম্মু বলতেসে তাকে কুফুরি কালাম দেয় নাই আরবি কিছুই নাকি দিসিল।আর  বলে যে নিজ থেকেই সরে যাবে ব্যবসা থেকে।আম্মু হয়ত আমল এ করসে অনেক গুলা আমল / তদবির নাকি দিসিল।অনেক বছর আগের কাহিনি।আর অই মহিলা নাকি নামাজ ও পরত।

পরে আমার চাচা ব্যবসা থেকে আসলেই চলে যায়,২/৩ মাসের জন্য।কয়েক মাস ব্যবসায় ছিল না।কিন্তু পরে আবার আব্বু তাকে ব্যবসায় নেয় কারন ওনার খারাপ লাগতেসিল অনার ভাতিজার জন্য চাচ্চু বরিশাল গিয়ে চাকরি করত।পরে আব্বু আবার নিজ থেকে তাকে ব্যবসায় নেয়।

আমার আম্মু এই রকম দ্বারা কি কুফুরি কিছু হইসে?  আম্মুর এত জ্ঞান ছিল না প্রায় ৬/৭ বছর আগের কাহিনি।আম্মু কে বলসি এইগুলা শির্ক তখন আম্মুকে বলসি মাফ চাও।

আর এইসবে যাওয়ার জন্য আম্মু আল্লাহর কাছে মাফ ও চায়।


তারপর আম্মু একটা ছেলে সন্তানের জন্য ও অনেক তদবির নিসে। আল্লাহর কাছেও অনেক চাইসে তাহাজ্জুদ পরসে অনেক কান্নাকাটি করছে পরে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ দিয়েছেন ও। আম্মু আল্লাহর অনেক শুকরিয়া করেন,যে আল্লাহই দিয়েছেন।


কুফুরি কি হয়েছে আসলে? শির্ক হইসে কিন্তু আম্মু সেটার জন্য মাফ চেয়েছে। এখন বুঝে অইসবে যাওয়া উচিত না বা উচিত হয় নাই।

1 Answer

0 votes
by (589,470 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/226 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার আম্মু যেহেতু কুফরি কালাম দ্বারা কিছু করেননি, তাই এটা উনার জন্য জায়েয হয়েছে। তবে কারো সাথে অন্যায়ভাবে বা কারো ক্ষতি করার নিমিত্তে এনটা করা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,470 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...