বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
[عن الحارث بن سويد:] جاءَ رجلٌ
إلى عبدِ اللهِ - يعني: ابنَ مسعودٍ - فقال: إنَّ لي جارًا ولا أعلمُ لهُ شيئًا
إلا خَبَثًا أو حرامًا، وإنهُ يدعوني فأُحرجُ أن آتِيَه، وأَتَحَرَّجُ أن لا
آتِيَه، فقال: ائتِهِ أو أَجِبْهُ فإنَّما وِزْرُهُ عليهِ
البيهقي (ت ٤٥٨)، السنن الكبرى للبيهقي ٥/٣٣٨
মর্মার্থ: এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর কাছে এসে বললেন যে, আমার
এক প্রতিবেশী আছে। আমার যতটুকু জানা আছে যে, তার হারাম উপার্জনও আছে। সে আমাকে
দাওয়াত দেয়। আমি কি তার দাওয়াতে সাড়া দিবো? তিনি বললেন- হ্যাঁ। আর সে যদি হারাম
কিছু খাওয়াই তাহলে গোনাহ তার হবে, তোমার নয়।
যে ব্যক্তির হারাম উপার্জনের তুলনায় হালাল উপার্জন বেশি হয়, তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ, তার বাড়ীতে খাওয়া সবই জায়েজ আছে। এতে কোন বিধিনিষেধ
নেই।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-
ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342(
অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম।
তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী
বা জমিদার,তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা
সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত
হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}
আরো জানুন- https://ifatwa.info/33706/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না জানা থাকলে তো কোনো সমস্যাই নেই। সে ক্ষেত্রে সে যদি হারাম কিছু খেতে দেয়
এবং না জেনে যদি তা খেয়ে ফেলা হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি না জেনে খেল তার
কোনো গোনাহ হবে না। তবে জেনে বুঝে হারাম খেলে গোনাহ হবে।