বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার জন্য উচিৎ এ চাকুরী ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো এমন চাকুরীতে জয়েন্ট হওয়া যেখানে হারামের কোনো সম্ভাবনা-ই আর অবশিষ্ট থাকবে না।
কেননা হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে, হযরত নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﺍﻟﻨُّﻌْﻤَﺎﻥَ ﺑْﻦَ ﺑَﺸِﻴﺮٍ ، ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ، ﻳَﻘُﻮﻝُ : " ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝُ ﺑَﻴِّﻦٌ ﻭَﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡُ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸَﺒَّﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟْﻤُﺸَﺒَّﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻛَﺮَﺍﻉٍ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳُﻮَﺍﻗِﻌَﻪُ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓِﻲ ﺃَﺭْﺿِﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﺴَﺪِ ﻣُﻀْﻐَﺔً ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَﺤَﺖْ ﺻَﻠَﺢَ ﺍﻟْﺠَﺴَﺪُ ﻛُﻠُّﻪُ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻓَﺴَﺪَﺕْ ﻓَﺴَﺪَ ﺍﻟْﺠَﺴَﺪُ ﻛُﻠُّﻪُ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﻫِﻲَ ﺍﻟْﻘَﻠْﺐُ "
(كتاب الإيمان )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হালাল (বিধি-বিধান)পরিস্কার।এবং হারাম ও পরিস্কার।এবং এই হালাল ও হারাম এর মধকার কিছু সন্দেহপূর্ণ বিধি-বিধান রয়েছে। যেগুলা সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই অজ্ঞাত।সুতরাং যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেছে থাকবে,সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জত-আব্রু কে হেফাজত করে নিবে।আর যে ব্যক্তি উক্ত সন্দেহপূর্ণ বিধি-বিধানে অভ্যস্ত হবে,সে ঐ রাখালের মত যে ফসলি ভূমির পাশে দিয় আপন পশুগুলো চড়াচ্ছে।যে পশু গুলো সম্পর্কে সর্বদাই এ চিন্তা বিদ্যমান থাকবে যে,পশুগুলো ফসলি জমিতে পড়ছে না তো?
জেনে রাখো! প্রত্যেক বাদশাহর-ই একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা রয়েছে।সাবধান!পৃথিবীতে আল্লাহর সীমারেখা হচ্ছে হারাম বিধি-বিধান সমূহ।এবং জেনে রাখো! প্রত্যেক মানুষের শরীরেই একটি গোস্তপিন্ড বিদ্যমান রয়েছে।যখন সেটা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত শরীরই সুস্থ থাকে।আর যখন সেটা অসুস্থ হয়ে পড়বে তখন সমস্ত শরীর অসুস্থ বা বিনাশ হয়ে যাবে। জেনে রাখো! আর সেটাই হচ্ছে "অন্তর" {সহীহ বুখারী-৫১এবং১৯৪৬}
আপনি যে বিভাগে চাকুরী করছেন।সেটা নিঃসন্দেহে হালাল।কেননা মদ বিক্রয়ে আপনি কোনো প্রকার সাহায্য করছেন না।যদি সাহায্য করে থাকেন, সাহায্য যে কোনোভাবেই হোকনা কেন, তাহলেসেটা হালাল হবে না।