বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/27715/?show=27715#q27715
নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَعِندَهُ مَفَاتِحُ
الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ
“তাঁর কাছেই আছে অদৃশ্য জগতের সমস্ত জ্ঞানের
চাবি। যা তিনি ব্যতীত আর কেউ জানে না। (সূরা আনআমঃ ৫৯)
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
قُل لَّا يَعْلَمُ مَن فِي
السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ ۚ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ
يُبْعَثُونَ
“বলুন, আল্লাহ
ব্যতীত নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে কেউ গায়েবের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।” (সুরা নামলঃ ৬৫)
অতএব, যদি
কেউ কোন রাশিফল এই বিশ্বাস নিয়ে পড়ে যে, এটি
তার জীবনে বাস্তবিকই ঘটবে এবং বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্র তার জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে, তবে তার কোন ইবাদতই আল্লাহর কাছে কবুল হবে
না।
রাসূল (সা.) বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যদি গণকের কাছে গিয়ে তার ভবিষ্যৎ
সম্পর্কে জানতে চায় এবং গণৎকারের কথা যদি সে বিশ্বাস করে, তবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল
হবেনা।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস
নং-৫৫৪০)
রাশিচক্র চর্চাকারী এবং দৈবজ্ঞানের দাবিদার
ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শকারীদের ক্ষেত্রেও এ হাদীসটি প্রযোজ্য।
অপর এক হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে
গেল এবং তার কথা বিশ্বাস করলো, সে
যেন মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ বাণীকে অস্বীকার করলো।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৮৯৫)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. তার কাছে পড়া না পড়া এটা একমাত্র আপনার ইচ্ছাধীন। তবে এটা জেনে রাখা দরকার
যে, পৃথিবীর
মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো। তাই তা একজন মুসলিমের জন্য হেফাজত করা আবশ্যক।
সুতরাং তার কাছে প্রাইভেট পড়লে বা তার কথা বার্তায় যদি আপনার ঈমানের ত্রুটি হওয়ার
সম্ভবনা থাকে তাহলে তার কাছে না পড়াই উত্তম।
উল্লেখ্য যে, আপনি
যেহেতু বোন। তাই ফিতনার আশংকা থাকায় পরিপূর্ণ পর্দার সাথে হলেও কোনো মুসলিম
শিক্ষকের কাছেও প্রাইভেট পড়া ঠিক হবে না। সুতরাং আপনি কোনো মুসলিম শিক্ষিকার কাছে
প্রাইভেট পড়বেন।
২. তার কথা বার্তা শুনে যদি উত্তর না দেন এবং তার ঐ সব কথা যদি বিশ্বাস না
করেন তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।
৩.
তার কাছে পড়া না পড়া এটা
একমাত্র আপনার ইচ্ছাধীন। তবে এটা জেনে রাখা দরকার যে, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে
মূল্যবান জিনিস হলো। তাই তা একজন মুসলিমের জন্য হেফাজত করা আবশ্যক। সুতরাং তার
কাছে প্রাইভেট পড়লে বা তার কথা বার্তায় যদি আপনার ঈমানের ত্রুটি হওয়ার সম্ভবনা
থাকে তাহলে তার কাছে না পড়াই উত্তম।
৪. না, এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। কারণ,
রাশিফল দেখলে সে দেখেছে । আর আপনি তো এগুলো বিশ্বাসই করেন না।
৫. ক. একা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। তবে
অমুসলিমকেও সাহায্য সহযোগিতা করা যায়।
খ. আপনি যেহেতু তার কাছে প্রাইভেট পড়ার
বিনিময় হিসিবে বেতন দিচ্ছেন। তাই সে যদি এই টাকা কুফরী কাজেও ব্যবহার করে তাহলেও আপনার
কোনো গোনাহ হবে না।