আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আমাদের বিয়ে হয়েছে ১বছর।আমার স্বামী কোনো কিছু নিয়ে ঝগড়া করলেই বলে তোকে নিয়ে সংসার করা সম্ভব না।একদিন আমি বাবার বাড়ি বেড়াতে গেলে ফোনে সে আমার সাথে ঝগড়া করে আর বলে এক্ষণ তোকে ছেড়ে দিব।ওই কথা টা বলব নি আমি,বলব নি?তারপর আরও অনেক দিন ই বলেছে আমাকে নিয়ে চলা তার পক্ষে সম্ভব না। গত দুইদিন আগে ঝগড়া লেগে রাগ করে বলে এই মুহুর্তে তোরে তিন তালাক বললে তুই তালাক হয়ে যাবি।তোরে এক্ষণ আমি ছেড়ে দেব।তারপর আর কিছু বলে নি।আর দু'দিন ধরে আলাদা বিছানায় থাকছে কিন্তু আজকে আবার নিজে থেকেই কাছে আসতে চাইছে। আমার গর্ভে সন্তান আছে ২ মাসের তাই সব রকম কেয়ারও করছে।এখন কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক জানতে চাচ্ছি আমাদের মাঝে কি তালাক পতিত হবে নাকি আমরা স্বাভাবিক ভাবে সংসার করতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
'এক্ষণ তোকে ছেড়ে দিব।ওই কথা টা বলব নি আমি,বলব নি'

(খ)
'আমাকে নিয়ে চলা তার পক্ষে সম্ভব না।'

(গ)
'এই মুহুর্তে তোরে তিন তালাক বললে তুই তালাক হয়ে যাবি।তোরে এক্ষণ আমি ছেড়ে দেব।'

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বামীর উপরোক্ত কথাবার্তা তালাকের ওয়াদা মাত্র।আর তালাকের ওয়াদা দ্বারা তালাক পতিত হয় না।কেননা ওয়াদাকে বিশেষ জরুরতে পরিবর্তনও করা যায়।

https://www.ifatwa.info/663 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিধান কি? ওয়াজিব না মুস্তাহাব? এবং ওয়াদাকে ভঙ্গ করা  হারাম না মাকরুহ?

সে সম্পর্কে ইমাম নববী রাহ বলেন,
উলামায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে,যদি কোনো মানুষ কারো সাথে এমন কোনো বিষয়ের ওয়াদা করে যা নিষিদ্ধ নয়,তাহলে তার জন্য উচিৎ হল সেই ওয়াদাকে পূর্ণ করা। ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না মুস্তাহাব? এ সম্পর্কে অবশ্যই মতপার্থক্য রয়েছে।ইমাম শা'ফেয়ী ও ইমাম আবু হানিফা এবং জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা মুস্তাহাব।যদি সে ওয়াদাকে ভঙ্গ করে ফেলে তাহলে যেন সে উত্তমতাকে পরিত্যাগ করল,এবং শক্ত মাকরুহে তানযিহি সম্ভলিত কাজে লিপ্ত হল।কিন্তু সে আবার গোনাহগার হবে না। অন্যদিকে এক দল উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব। ইমাম আবু বকর ইবনুল আরাবি মালিকি রাহ বলেন,যারা উক্ত মাযহাবের প্রবক্তা তাদের মধ্যে এটা উমর ইবনে আব্দুল আযিয রাহ শীর্ষে রয়েছেন।তিনি আরো বলেন,মালিকি মাযহাবের উলামাগণ তৃতীয় আরেকটি মাযহাবকে বর্ণনা করেছেন। সেটা হল যে,যদি কেউ কাউকে বলে, তুমি বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করো তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে।অথবা তুমি ওয়াদা করো আমাকে গালি দেবে না তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে ইত্যাদি বাক্য। তাহলে এমতাবস্থায় ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে।আর যদি স্বাভাবিক ওয়াদা হয়ে থাকে তাহলে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না।যারা ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব বলেন না তারা বলেন, যে ওয়াদা হলো হেবার সমার্থক। আর জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে হেবা কবজা ব্যতীত পরিপূর্ণ হয় না।তবে ইমাম মালিক রাহ এর মতে ওয়াদা কবজার পূর্বেও ওয়াজিব হয়ে যায়।(আল-আযকার-৩১৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...