ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ তায়ালা শবে কদরে যাদেরকে মাফ করে দেন।
হাদীস শরীফে
এসেছে
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ قَامَ لَيْلَةَ القَدْرِ إِيمَاناً وَاحْتِسَاباً غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»
আবূ হুরাইরা
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি শবে কদরে (ভাগ্য-রজনী অথবা মহীয়সী রজনীতে)
ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় কিয়াম করে (নামায পড়ে), তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।”
সহীহুল বুখারী ৩৫, ৩৭, ৩৮, ১৯০১, ২০০৮, ২০০৯, ২০১৪, মুসলিম ৭৬০, তিরমিযী ৬৮৩, নাসায়ী ২১৯৮
শবে কদর সম্পর্কে
আরো জানুন- https://ifatwa.info/17157/?show=17157#q17157
■ আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা তাকে শিরকের গোনাহ ছাড়া সকল গোনাহ মাফ করে দেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা
করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর
যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ
আরোপ করল। সূরা নিসা, আয়াত নং-৪৮
■ খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা
অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার হক ব্যতীত।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»
হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে
বর্ণনা করেন, রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ
থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে
ইবনে মাজাহ, হাদীস
নং-৪২৫০]
তওবা সম্পর্কে আরো
বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/23882/?show=23882#q23882
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শবে কদরে কাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করেন না, এ রকম
নির্দিষ্ট কোনো হাদীস পাওয়া যায় না। তবে শবে বরাতের ব্যাপারে পাওয়া যায়। যেমন-
হাদীস শরীফে এসেছে-
মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)
সূত্রে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মধ্য শাবানের রাতে, অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকুলের প্রতি
রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক, হিংসুক ও বিদ্বেষী লোক ছাড়া
সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫; আল মুজামুল কাবির : ২০/১০৯; শুয়াবুল ঈমান, হাদিস : ৬৬২৮)
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন: আল্লাহ তাআলা এ রাতে বিদ্বেষ
পোষণকারী ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যাকারী ছাড়া বাকি সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেন
(মুসনাদে আহমদ,
চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৭৬)। ‘এ রাতে আল্লাহ তাআলা মুশরিক ও
ব্যভিচারিণী ছাড়া সবার চাওয়া পূরণ করে থাকেন (শুআবুল ঈমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮৩)।’