ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4560 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَجَاوَزْنَا بِبَنِي إِسْرَآئِيلَ الْبَحْرَ فَأَتَوْاْ عَلَى قَوْمٍ يَعْكُفُونَ عَلَى أَصْنَامٍ لَّهُمْ قَالُواْ يَا مُوسَى اجْعَل لَّنَا إِلَـهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُون َ* إِنَّ هَـؤُلاء مُتَبَّرٌ مَّا هُمْ فِيهِ وَبَاطِلٌ مَّا كَانُواْ يَعْمَلُون َ* قَالَ أَغَيْرَ اللّهِ أَبْغِيكُمْ إِلَـهًا وَهُوَ فَضَّلَكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ
বস্তুতঃ আমি সাগর পার করে দিয়েছি বনী-ইসরাঈলদিগকে। তখন তারা এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে পৌছাল, যারা স্বহস্তনির্মিত মূর্তিপুজায় নিয়োজিত ছিল। তারা বলতে লাগল, হে মূসা; আমাদের উপাসনার জন্যও তাদের মূর্তির মতই একটি মূর্তি নির্মাণ করে দিন। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে বড়ই অজ্ঞতা রয়েছে।এরা যে, কাজে নিয়োজিত রয়েছে তা ধ্বংস হবে এবং যা কিছু তারা করেছে তা যে ভুল!তিনি বললেন, তাহলে কি আল্লাহকে ছাড়া তোমাদের জন্য অন্য কোন উপাস্য অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদিগকে সারা বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।(সূরা আরাফ-১৩৮-১৪০)
মুসা আঃ তাদেরকে ভৎসনা করেছেন। কিন্তু তাদেরকে অমুসলিম আখ্যা দেননি বা তাদের এজন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশও দেননি। কাজেই বুঝা গেল উজর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীনী ইলম না থাকার কারণে যেহেতু আপনার স্ত্রী এমনটা বলেই ফেলেছেন, তাই আপনার স্ত্রী এখন তাওবাহ করবেন। যদিও অজ্ঞতার কারণে উনার ঈমানকে দোহড়াতে হচ্ছে না,তথাপি এরকম মূর্খতাপূর্ণ কথা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা অতিব জরুরী।