আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
HINDUS INSULTS MUSLIMS ON HALALA PRACTISE. WHAT IS THIS? VWHAT IS HALALA? PLEASE REPLY  PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY PLEASE REPLY

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/15409 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

কেউ যদি তার স্ত্রীকে এক তালাক রাজয়ী দেয়,তাহলে সে আবার ঐ স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে।ঠিক এভাবে দুই তালাক দেয়ার পরও ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে।
এভাবে এক তালাক বাঈন বা দুই তালাক বাঈন দেয়ার পর নতুন বিয়ের মাধ্যমে আবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়।কিন্তু তিন তালাক দেয়া হয়, (চায় উক্ত প্রদত্ত তালাক রাজয়ী হোক বা বাঈন হোক)তাহলে তখন তালাক মুগাল্লাজা হবে।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُواْ مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلاَّ أَن يَخَافَا أَلاَّ يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللّهِ فَلاَ تَعْتَدُوهَا وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللّهِ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই জালেম।

فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىَ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2729

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তিন তালাক পতিত হওয়ার পর উক্ত স্বামী স্ত্রী আর একত্রে বসবাস করতে পারবে না। তবে হ্যা যদি ঐ স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়,এবং কোনো কারণে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায়,তখন আবার সে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে ব্যতীত আবার ঐ স্বামীর সাথে সংসার স্থাপন করলে সেটা বৈধ হবে না।এক্ষেত্রে সর্বদাই ব্যভিচারের গোনাহ হবে। আর বিবাহিত পরুষ বা মহিলা কর্তৃক ব্যভিচার প্রমাণিত হলে এর শাস্তি হল,পাথর মেরে হত্যা করা।তবে এ দায়িত্ব সরকারের জনগণের নয়।আর অাখেরাতে তো রয়েছে এর জন্য  ভয়ঙ্কর শাস্তি।

টাকা দিয়ে কারো কাছে বিয়ে দিয়ে আবার তালাক নিয়ে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া মাকরুহে তাহরিমী। তবে যদি ঐ দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে থাকে, তাহলে মাকরুহে তাহরিমী হলেও প্রথম স্বামীর সাথে বিয়ে বৈধ হয়ে যাবে। (শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দেখেন, ইসলামের স্বাভাবিক একটা বিধান, তথা তিন তালাকের পর স্ত্রীর যদি অন্য কোথাও বিয়ে হয়, এবং ঘটনাক্রমে কোনো কারণে ঐ দ্বিতীয় স্বামীর সাথে মহিলার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, এবং ঘটনাক্রমে প্রথম স্বামীর সাথে উক্ত মহিলা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়, তাহলে শরীয়তে তা অনুমোদিত হবে।

কিন্তু কিছু লোক, এই স্বাভাবিক নিয়মকে অস্বাভাবিক ভাবে দাড় করিয়ে নিয়েছে, তারা তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে টাকার বিনিময়ে অন্য স্বামীর কাছে বিয়ে দেয়, তারপর তালাক নিয়ে আবার প্রথম স্বামীর কাছে বিয়ে দেয়, এমনটা করা কখনো জায়েয হবে না।

হিন্দুরা সম্ভব এই নিয়ম দ্বারা ইসলামের উপর আঘাত দেয়, অথচ এই নিয়মের কথা ইসলাম বলেনি।হিন্দুরা ইসলামি নিয়মনীতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ, তাই তারা এভাবে অপমান করার চেষ্টা করতেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 122 views
0 votes
1 answer 133 views
0 votes
1 answer 154 views
0 votes
1 answer 237 views
...