বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
ٍعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي العَتَمَةِ وَالصُّبْحِ، لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আযানে ও প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, কুরআহর মাধ্যমে নির্বাচন ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হত, তাহলে অবশ্যই তারা কুরআহর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত। যুহরে সালাত (নামায/নামাজ) আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ইশা ও ফজরের সালাত (জামা’আতে) আদায়ের কী ফযীলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত।(সহীহ বোখারী-৬১৫,সহীহ মুসলিম-৪৩৭)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি নিজ মালকে হেফাজতে রেখে প্রথম কাতার বা যেকোনো একটি কাতারে নামায পড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। কাতার থেকে বের হয়ে একাকি নামায পড়ার কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই।স্বাভাবিক নিয়ম হল, মুসলমানদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে নামায পড়বেন।তবে একাকি কোনো সফে নামায পড়লে যে নামাযই হবে না, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়, বরং নামায হবে।হ্যা মাকরুহে তানযিহি হবে।
(২)
দুই কাতরের মধ্যে এতটুকু দূরত্ব যে মধ্যখানে একটি গরুর গাড়ী বা মালবাহী /মনুষ্যবাহী যানবাহ চলাচল করতে পারে, এমন হলে ইত্তেসাল তথা কাতারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে না।পরবর্তী কাতরে যারা থাকবে, তাদের নামায গ্রহণযোগ্য হবে না।