আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
১)হুরমত সাব্যস্ত হওয়ার পর যদি তালাক না দেওয়া হয়,তবে কি গুনাহ হবে?


২)"" ইমোজি ব্যাবহার করা যাবে কি?


৩)শিরক করলে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে,তখন স্ত্রী অসন্তুষ্ট হবে।
এমন যাতে না হয়,এই জন্য যদি কেউ শিরক থেকে বিরত থাকে তবে কি সে মুশরিক হিসেবে গন্য হবে?


৪)আমার সন্দেহ হইল যে একাজ টি শিরক কি না?

আমি সাথে সাথে তা বাদ দিলাম না।

আলেম দের ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করলাম।

আর মনভাব রাখলাম যে,যদি এ কাজ শিরক হয়,তবে অবশ্যই ছেড়ে দিব।


ক) যদি সন্দেহযুক্ত কাজ শিরক না হয়,আর উত্তর জানার আগেই আমি মারা যাই,তবে কি মুশরিক হিসেবে গন্য হব?


খ)যদি ওই সন্দেহ যুক্ত কাজ আসলেই শিরক হয়,আর এতা জানার আগেই আমি মারা যাই,তবে কি আমি মুশরিক হিসেবে গন্য হব?


৫)ধরুন একবার আমি এমন অবস্থায় পরলাম যে যদি গার্লফ্রেন্ড কে না দেই তবে শিরক হবে।

ওকে ছেড়ে দিলে ও রাগ করবে,সেটা আমি চাই না।

আমি কখনোই চাই না শিরক করতে, আবার গার্লফ্রেন্ড কেও রাগাতে চাই না।

 আমি খুব করে চেষ্টা করতে থাকলাম যাতে শিরক না হয়,আবার
গার্লফ্রেন্ড কেও ছেড়ে দেয়া না লাগে।


সব রকমের শিরকি আকিদা যা ওকে নিয়ে আসছিল মনে,সব গুলা বারবার মন থেকে দূর করার চেষ্টা করছিলাম।

অবশেষে ফতোয়া জানতে পারলাম যে, যদি আমি এখন তাওবা করি,তবে ওকে না ছাড়লেও শিরক হবে না।


কিন্তু আমি যে ওকে না ছাড়ার জন্য,অসন্তুষ্ট না করার জন্য এত চেষ্টা করলাম এতে কি আমি মুশরিক হিসেবে গন্য হব?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

হুরমত কাকে বলে ও কিভাবে হুরমত প্রমাণিত হয়ে থাকে। একবার হুরমত প্রমাণিত হয়ে গেলে আর কোনো ভাবেই সংসার করা যাবে না। হুরমত হয়ে গেলে তালাক নেয়ার কোনো প্রয়োজন নাই, বরং এমনাতেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।

(২)
যদি emoji এর পূর্ণ অবয়ব তথা emoji তে ব্যবহৃত প্রাণীর মাথা,মুখ,চোখ,নাক,কান ইত্যাদি স্পষ্টভাবে বুঝা যায়,তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে না।কেননা এগুলো হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ ছবির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যদি চোখ, মুখ ইত্যাদি অঙ্গগুলো স্পষ্টত বুঝা না যায়, তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে। কেননা, এগুলোকে ‘প্রাণীর ছবি’ বলা যাবে না বরং খুব বেশী এগুলোকে আঁকিবুকি, চিহ্ন বা কিছু রেখা ইত্যাদি ভাবা হবে। তবে যথাসম্ভব এ সব ব্যবহার না করাই শ্রেয়।ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/974

(৩)
https://www.ifatwa.info/3778 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত।
قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى المِنْبَرِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا، أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ»
আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরাত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরাত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরাত করেছে।(সহীহ বোখারী-১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হওয়া চাই।সুতরাং স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে, এজন্য শিরক থেকে বাঁচার চেষ্টা কখনো কাম্য হতে পারে না। হ্যা, যদি কেউ স্ত্রী তালাক হওয়ার ভয়ে শিরক থেকে বেঁচে থাকে, তাহলে এজন্য অবশ্যই তালাক হবে না।

(৪)
(ক)
যদি সন্দেহযুক্ত কাজ শিরক না হয়,আর উত্তর জানার আগেই আপনি মারা যান,তবেও আপনি মুশরিক হিসেবে গন্য হবেন না।

(খ)
যদি ওই সন্দেহ যুক্ত কাজ আসলেই শিরক হয়,আর এটা জানার আগেই আপনি মারা যান,তবেও আপনি মুশরিক হিসেবে গন্য হবেন না।

(৫)
অবশেষে আপনি ফতোয়া জানতে পারলেন যে, আপনি যদি তাওবা করেন,তবে ওকে না ছাড়লেও শিরক হবে না। কিন্তু এখন আপনি ওকে না ছাড়ার জন্য,অসন্তুষ্ট না করার জন্য চেষ্টা করেছেন, এতে আমি মুশরিক হিসেবে গন্য হবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...