ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হুরমত কাকে বলে ও কিভাবে হুরমত প্রমাণিত হয়ে থাকে। একবার হুরমত প্রমাণিত হয়ে গেলে আর কোনো ভাবেই সংসার করা যাবে না। হুরমত হয়ে গেলে তালাক নেয়ার কোনো প্রয়োজন নাই, বরং এমনাতেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
(২)
যদি emoji এর পূর্ণ অবয়ব তথা emoji তে ব্যবহৃত প্রাণীর মাথা,মুখ,চোখ,নাক,কান ইত্যাদি স্পষ্টভাবে বুঝা যায়,তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে না।কেননা এগুলো হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ ছবির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যদি চোখ, মুখ ইত্যাদি অঙ্গগুলো স্পষ্টত বুঝা না যায়, তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে। কেননা, এগুলোকে ‘প্রাণীর ছবি’ বলা যাবে না বরং খুব বেশী এগুলোকে আঁকিবুকি, চিহ্ন বা কিছু রেখা ইত্যাদি ভাবা হবে। তবে যথাসম্ভব এ সব ব্যবহার না করাই শ্রেয়।ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/974
(৩)
https://www.ifatwa.info/3778 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত।
قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى المِنْبَرِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا، أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ»
আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরাত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরাত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরাত করেছে।(সহীহ বোখারী-১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হওয়া চাই।সুতরাং স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে, এজন্য শিরক থেকে বাঁচার চেষ্টা কখনো কাম্য হতে পারে না। হ্যা, যদি কেউ স্ত্রী তালাক হওয়ার ভয়ে শিরক থেকে বেঁচে থাকে, তাহলে এজন্য অবশ্যই তালাক হবে না।
(৪)
(ক)
যদি সন্দেহযুক্ত কাজ শিরক না হয়,আর উত্তর জানার আগেই আপনি মারা যান,তবেও আপনি মুশরিক হিসেবে গন্য হবেন না।
(খ)
যদি ওই সন্দেহ যুক্ত কাজ আসলেই শিরক হয়,আর এটা জানার আগেই আপনি মারা যান,তবেও আপনি মুশরিক হিসেবে গন্য হবেন না।
(৫)
অবশেষে আপনি ফতোয়া জানতে পারলেন যে, আপনি যদি তাওবা করেন,তবে ওকে না ছাড়লেও শিরক হবে না। কিন্তু এখন আপনি ওকে না ছাড়ার জন্য,অসন্তুষ্ট না করার জন্য চেষ্টা করেছেন, এতে আমি মুশরিক হিসেবে গন্য হবেন না।