ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
যাকাতের খাত সম্পর্কে আল্লাহ তাা'আলা বলেন,
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেই ব্যাক্তির নেসাব পরিমান সম্পদ নেই,তাকে ফকির বলা হয়।
বর্তমান সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্য আমরা যদি হিসেব করি।
তাহলে দেখতে পাই যে ১৮ ক্যারেটের রুপা প্রতি ১২২৫ টাকা।
তাহলে ১২২৫×৫২.৫=৬৪৩১২.৫ টাকা।
তার মানে ৬৪ হাজার ৩১২ টাকা হলো নেসাব পরিমান টাকা।
★প্রশ্নে উল্লেখিত মানুষের যদি এই পরিমান টাকা দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত থাকে,কোনো ঋন না থাকে,তাহলে তাকে যাকাত দিবেননা।
কেননা ১৮ ক্যারেট রুপার মুল্য ধরে তিনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক।
(০২)
দোকানের এই ব্যবসার মালামালের ক্রয় মূল্য ধরে ব্যবসায়ীক পন্য হিসেবে তার যাকাত দিতে হবে।
এডভান্সের টাকার উপর যাকাত এখন দিতে হবেনা। কেননা সেটি এখন তার হাতে নেই।
এই টাকা দোকান ছেড়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত পাওয়া যাবেনা।
সুতরাং এখন তার যাকাত দিতে হবেনা।
তবে তাহা উসুল হওয়ার পর বিগত প্রত্যেক বছরের হিসেব করে যাকাত দিতে হবে।