আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম হজরত,

চোখের জ্যেতি বাড়ার জন্য কী কী আমল করা যেতে পারে।

কোনো দুআ থাকলে বলবেন ইনশাআল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (711,200 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
হযরত ইবনু আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس رضي الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : " إن من خير أكحالكم الإثمد إنه يجلو البصر وينبت الشعر "
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,তোমাদের সুরমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সুরমা হল,ইসমিদ পাথরের সুরমা।কেননা তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং ভ্রুতে নতুন লোম গজাতে সাহায্য করে।(সুনানু নাসাঈ-৫১১৩,সুনানু আবি দাউদ-৩৮৩৭)

হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত,
عن جابر، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: «عليكم بالإثمد عند النوم، فإنه يجلو البصر، وينبت الشعر»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা ঘুমানোর সময়চোখে ‘ইছমাদ’ সুরমা লাগাও | এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয় এবং ভ্রুতে নতুন লোম গজায়’ (সুনানু ইবনি মাজাহ-৩৪৯৬) 

অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, এটা চোখের ময়লা
দূর করে এবং চক্ষু পরিষ্কার করে (ত্বাবারাণী-৬৬৫) | 

ইবনুল কাইয়্যিম রাহ বলেন,
" وفي الكحل حفظ لصحة العين وتقوية للنور الباصر وجلاء لها وتنظيف المادة الرديئة واستخراج لها ، مع الزينة في بعض أنواعه ، وله عند النوم مزيد فضل لاشتمالها على الكحل وسكونها عقيبة من الحركة المضرة بها وخدمة الطبيعة لها ، وللإثمد من ذلك خاصية "
সুরমা চোখের হেফাজত করে।দৃষ্টিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়।এবং চোখের ময়লা আবর্জনাকে দূর করে।তাছাড়া সুরমা মানুষের সুন্দর্য্যকে বাড়িয়ে দেয়।ঘুমের সময় সুরমা ব্যবহারের অতিরিক্ত ফায়দা রয়েছে।কেননা তখন চোখের ক্ষতিকারক কিছু চোখের ভিতর প্রবেশ করতে পারে না।বিশেষকরে ইসমিদ পাথরের সুরমার আলাদা ফযিলত রয়েছে।(যা'দুল মা'আদ-৪/২৮১)বিস্তারিত জানুন-২৯১২

অনেক বুজুর্গানে কেরাম নিম্নোক্ত আয়াতকে প্রতি ফরয নামাযের পর পড়ে হাতে ফুক দিয়ে চক্ষুতে মোছার পরামর্শ দিয়ে থাকেন,
فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ
এখন তোমার কাছ থেকে যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ন।(সূরা ক্বাফ-২২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...