আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in সালাত(Prayer) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) যদি কেউ ঘটনাক্রমে বিতর নামাজের মাসবুক হয় এবং ইমামের সাথে ৩য় রাকাআত পায়, তবে দোয়া কুনুতের আগে ইমামের সাথে (কান পর্যন্ত) হাত উঠিয়ে দোয়া কুনুত পড়বে?

২) দোয়া কুনুত শেষ করার অনেক আগে ইমাম যদি রুকুতে চলে যায় এবং এই আশঙ্কা থাকে যে, দোয়া কুনুতের বাকি অংশ শেষ করার আগে ইমাম রুকু থেকে উঠে যাবে, তাহলে কী করণীয়?
৩) যারা দোয়া কুনুত জানে না, তারা কী পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/40870/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে, ছাহাবায়ে কেরামগন রমজান মাসে বিতির নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতেন।

তবে এটি আবশ্যকীয় বা জরুরি বিষয় নয়।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عن ابى عبد الرحمن السلمى عن على قال دعى القراء فى رمضان فامر منهم رجلا يصلى بالناس عشرين ركعة قال وكان على يوتر بهم

হযরত আবু আব্দুর রহমান সুলামী বলেনঃ হযরত হযরত আলী রাঃ রমজান মাসে কারীদের ডাকতেন। তারপর তাদের মাঝে একজনকে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়াতে হুকুম দিতেন। আর বিতিরের জামাত হযরত আলী নিজেই পড়াতেন। {বায়হাকী-৪/৪৯৬}

 

عن سعيد بن ابى عبيد ان على بن ربيعة كان يصلى بهم فى رمضان خمس ترويحات ويوتر بثلاث

হযরত সাঈদ বিন আবু উবায়েদ থেকে বর্ণিত। হযরত আলী বিন রাবীয়া পাঁচ তারবিহা তথা বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির জামাতের সাথে পড়তেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}

 

عن جابر بن عبد الله، قال: خرج النبي  صلى الله عليه وسلم  ذات ليلة في رمضان فصلى الناس أربعة وعشرون ركعة وأوتر بثلاثة

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) রমজানের এক রাতে ঘর থেকে বের হয়ে এলেন এবং লোকদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত 

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

حدثنا عاصم قال : سألت أنس بن مالك رضي الله عنه عن القنوت فقال : كانت القنوت، قلت : قبل الركوع أو بعده؟ قال : قبله، قلت : فإن فلانا أخبرني عنك إنك قلت : بعد الركوع، فقال : كذب، إنما قنت رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد الركوع شهرا.

হযরত আনাস রা. থেকেই অন্য রেওয়ায়েতে আছে, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত কুনূত পড়েছেন। আবু বকর রা.ও মৃত্যু পর্যন্ত কুনূত পড়েছেন, উমর রা.ও মৃত্যু পর্যন্ত কুনূত পড়েছেন।

إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قنت حتى مات، وأبو بكر رضي الله عنه حتى مات، وعمر رضي الله عنه حتى مات، رواه البزار، ورجاله موثقون.

(বাযযার-মাজমাউয যাওয়াইদ ১/১৩৯)

এই বর্ণনায় বিতরের কুনূতই উদ্দেশ্য। কারণ ফজরের কুনূত সর্বদা পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায় না; বরং বিপরীত বিষয়টি সহীহ বুখারীর উপরোক্ত হাদীস ছাড়াও বিভিন্ন হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। এজন্য মুসনাদে আহমদ ও বাযযারের নিম্নোক্ত বর্ণনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়া পর্যন্ত (অর্থাৎ জীবনভর) ফজরের নামাযে কুনূত পড়েছেন।

আরো বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/859

 

বিতির নামাজ সংক্রান্ত দলিল বিস্তারিত জানুনঃ

https://ifatwa.info/4372/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দোয়া কুনুত যতটুকু সম্ভব পড়বে।

২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সে রুকুতে চলে যাবে এবং ইমামকে অনুসরণ করবে।  তার আর কুনুত পড়া লাগবে না।

৩. দোয়ায়ে কুনুত মুখস্থ না থাকলে এই আয়াত পড়বে-

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থ: হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।

এটাও মুখস্থ না থাকলে ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী’ তিনবার পড়েব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 238 views
+1 vote
1 answer 206 views
0 votes
1 answer 348 views
...