আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ
শায়েখ, আমার পিতা এবং স্বামি মিলে বিবাহত্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন৷ আমি প্রস্তাব রেখেছি নারী পুরুষ আলাদা রাখা হোক৷ সেই হিসেবে আব্বু আবার একই সেন্টারের উপরে অন্য সেন্টার শুধু মেয়েদের জন্য স্পেস রেখেছেন, এর কারন যেনো আমি বোরকা ছাড়া সেজেগুজে বসে থাকতে পারি৷ কিন্তু মেয়ে আলাদা হওয়া সত্ত্বেও আমি বলেছি,আমি বোরকা/নিকাব খুলবোনা কারন যে কেউ হঠাৎ ছবি তুলে ফেললে আমি কয় জনকে বাধা দিতে পারবো,আর চোখে চোখে খেয়াল রেখে কতটুকুই সম্ভব৷ কিন্তু আব্বু মানছেননা৷ ওনার কথা আমি hard line এ চিন্তা করি,যেটা কেউ করেওনা৷ সতর্ক থাকার পরেও কেউ তুললে সেটা আমার দায় হবেনা৷  আমার কথা, পর্দা তো আমার,আমার হাতে আছে সর্বোচ্চ টার আমি কেনো ছাড় দিবো যখন সম্ভাবনা আছে৷ (বলে রাখি উনি বয় রাও যেনো না আসে সে জন্য ওখানে একটা আলাদা কাঠের দরজা সিস্টেম আছে ওখানে আমাকে রাখবেন বলেছেন,কিন্তু আমি তাও পর্দা য় থাকবো বা কিছু সময়ের জন্য বা খানিক সময়ের জন্য বোরকার শুধু মুখ খুলবো বলেছি তাতে বিরক্ত হচ্ছেন,এবং বাড়াবাড়ি ভাবছেন যেহেতু সেখানে শুধু মেয়ে)

২) তারা শুধু মেয়েদের আলাদা নিশ্চিত করছেন, কিন্তু পুরুষ প্যানেলে কোনো মেয়ে আসতে চাইলেও তারা সেটায় সিরিয়াস নন৷ এটা তাদের হাতে না বলছেন৷ আমি বলেছি ব্যানার দিয়ে রাখা যে এটা পুরুষ প্যানেল,নারীরা এখানে না আসা "এজাতীয় টাংগানো৷ ওনারা রাজি হচ্ছেননা৷ আমার প্রশ্ন এ জায়গায় কি তাদের দায়িত্ব নেই?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুতরাং শুধুমাত্র নারীদের সামনে আপনি এভাবে চেহারা খুলে বসতে পারবেন।
আপনার পাশে এমন কয়েকজনকে রাখবেন, কেউ ছবি তোলার প্রস্তুতি নেয়া মাত্র যারা তাদের বাধা দিবে।
যদি আপনার মনে হয় যে এতে কাজ হবেনা,তাহলে আপনি বোরকা পড়েই আসবেন।
কেউ ছবি তুলতে চাইলে সেই সময় নেকাব আটকাবেন।

উল্লেখ্য, উক্ত স্থানে কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ আসার সম্ভাবনা থাকলে আপনার জন্য চেহারা খুলে এভাবে বসার থাকার কোনোভাবেই অনুমতি নেই।

(০২)
এখানে অবশ্যই তাদের দায়িত্ব আছে।
সকল নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করলেই সকল পুরুষদের ভালোভাবে পর্দা হবে।

নতুবা ছাড়া দেয়া হলে দেখা যাবে যে কেউ তার স্ত্রীকে মহিলাদের জায়গায় রেখে আসলেও এখানে পুরুষদের স্থানে অন্য কাহারো স্ত্রী থাকায় তার পর্দা হচ্ছেন্ব।
এর দ্বায়ভার কর্তৃপক্ষের তথা আপনার বাবারও হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...