ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছে-
يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ
আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ
অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}
নাপাক ভেজা কাপড় কোথাও লাগলে সেখানে নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া না গেলে সেটিকে নাপাক বলা যায়না
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শুধুমাত্র সন্দেহের কারনে উক্ত 'তার' নাপাক হবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে য আপনার মোবাইলে নাপাকির কোনো গন্ধ,চিন্হ ছিলোনা,তার মানে আপনি মোবাইলে নাপাকি লেগেছিলো কিনা,সেই ব্যাপারেই নিশ্চিত না,আবার গামছার উক্ত অংশ সেই তারে লেগেছিলো কিনা,সেই ব্যাপারেও নিশ্চিত না।
সুতরাং উক্ত তার,আপনার কাপড় নাপাক হবেনা।
সেগুলো পাকই আছে।
শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে এগুলোকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।