আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। নিচের বিষয় টি নিয়ে সাহায্য করবেন দয়া করে।
কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে নাকি ৩ তা*** নিয়ত করলে তাই পতিত হয়। তাই একজন স্ত্রী মারাত্মক ওয়াসওয়াসায় আছে তার স্বামীর কথায় ৩ তা** হয়ে যাবে কিনা।
স্বামি একদিন বলেছিল অমুক কথা আমার সামনে আর বলবা না বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ। তারপর স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে বলে তার কোন নিয়ত ছিল না৷
পরবর্তীতে স্ত্রী আরেকদিন জিজ্ঞেস করে ওইদিন বা জীবনে  অন্য কোনদিন কি কেনায়া বাক্য বলার সময় সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে বা তালা** কথা চিন্তা করে বলেছিলে?? পরে স্বামী রাগ করে আর বলে ""হ্যা্ বলেছি"""।

১।এখন তার এই উত্তরের কারনে  ১ম দিনের বলা শর্তের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?যদি বলা হয়ে থাকে ওইদিন বা অন্য কোনদিন। এইভাবে বললে কি সাথে সাথেই তা** পতিত হবে??  নাকি  শর্ত ও আরোপ হবে? যেহেতু ওইদিন কথাটার সাথে অন্য কোনদিন কথাটা যুক্ত আছে তাহলে ত সাথে সাথেও তা*** পতিত হবার কথা।
২। """ওইদিন  বা জিবনে কোনদিন ""এই দুইটা কথাই যদি প্রশ্ন করার সময় উল্লেখ করা হয়ে থাকে তাহলে  কি সাথে সাথেও তা*** পরবে আবার শর্ত ও আরোপ হবে??

৪।সাথে সাথে তা** হলে সেটা কয়, তা*** হবে??  স্বামী তো বলেছে সে বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছে তাহলে তাকে এই বিষয়ে নিয়ত বা সংখ্যা জিজ্ঞেস করলে সে রাগ করবে।

৫৷ যদি সাথে সাথে তা** পতিত না হয়ে শর্তের  কারন পাওয়া গেলে পতিত হয় তখন সেটা কয় তা** হবে?? সংখ্যা তো স্বামী উল্লেখ করেনি কারন সে শুধু বিরক্ত হয়ে বলেছিল।
৬। হুজুর স্ত্রীর প্রবল ধারণা হয় প্রশ্নটা করার সময় সে ওইদিন কথাটা বলেনি,,,আর তা*** শব্দটা উচ্চারণ করেনি শুধু বলেছিল জীবনে কোনদিন কোন কেনায়া বাক্য বলার সময়।।।।এইটুকু কথা সে শিউর বাকি গুলো সন্দেহ হয় শুধু।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ


এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

তবে স্ত্রী যদি স্বামীকে স্পষ্ট ভাবে  এই ভাবে জিজ্ঞাসা করেঃ
"কেনায়া বাক্য বলার সময়  সত্যি সত্যি তালাকের নিয়তে বলোনি তো?"

এই প্রশ্নের জবাবে স্বামী "হ্যাঁ বলেছি"  বললে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে।
সেই সময়ে তালাক হবে। 

এই ছুরতে স্বামীর "হ্যাঁ বলেছি"  বলার পর থেকে শর্ত  আরোপ হবে।

(২.৩,৪,৫)
স্বামী যদি আসলেই মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে  
সাথে সাথে শর্ত আরোপ হবে,তালাক সাথে সাথেই হবেনা।

আর স্বামী যদি সত্যি স্বীকারোক্তি দেয়,অর্থাৎ তার আগের সেই বাক্য বলার সময় সত্যিই তালাকের নিয়ত ছিলো,তাহলে সাথে সাথেই তালাক হবে।

কয় তালাকের নিয়ত করেছিলো,এমনটি যেহেতু স্পষ্ট করেনি,তাই এক তালাক ধরা হবে।  

(০৬)
স্ত্রী নিশ্চিত ভাবে কি বলেছে,স্বামী থেকে জেনে নিয়ে তারপর প্রশ্ন করতে হবে।
শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে তালাক হয়না।
আর আপনার ক্ষেত্রে সন্দেহের ভিত্তিতে প্রশ্ন করাও ঠিক নয়।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...