بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
مَّثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ
فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ
سُنبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاءُ ۗ وَاللَّهُ
وَاسِعٌ عَلِيمٌ
যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি
শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ। (সূরা বাকারা, আয়াত নং-২৬১)
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ
عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ
يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিন প্রকার আমল
ছাড়া। ১. সদাকাহ জারিয়াহ্ অথবা ২. এমন ইলম যার দ্বারা উপকার হয় অথবা ৩. পুণ্যবান
সন্তান যে তার জন্যে দু'আ করতে
থাকে। (সহীহ মুসলিম ৪১১৫ )
সদকাহ ও হাদিয়া এক জিনিস নয়। হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا
أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيرَةَ لِلْعِتْقِ، وَأَرَادَ مَوَالِيهَا أَنْ
يَشْتَرِطُوا وَلاَءَهَا، فَذَكَرَتْ عَائِشَةُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اشْتَرِيهَا، فَإِنَّمَا
الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ ". قَالَتْ وَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه
وسلم بِلَحْمٍ فَقُلْتُ هَذَا مَا تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ فَقَالَ "
هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ، وَلَنَا هَدِيَّةٌ ".
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বারীরা নাম্নী দাসীকে আযাদ করার উদ্দেশ্যে
কিনতে চাইলেন, তার মালিকরা
বারীরার “ওয়ালা” (অভিভাবকত্বের অধিকার) এর শর্ত আরোপ করতে চাইল। আয়িশা (রাঃ) (বিষয়টি
সম্পর্কে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উল্লেখ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় কর। কারণ যে (তাকে) আযাদ করবে “ওয়ালা”
তারই। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একটু গোশত হাযির করা হল। আমি বললামঃ এ বারীরার সাদকা স্বরূপ
দেওয়া হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ বারীরার জন্য সাদকা, আর আমাদের জন্য হাদিয়া। (সহীহ বুখারী ১৪০৬)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ
أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ
اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের
যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ
তা অবহিত আছেন।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ،
وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ،
وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى
وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের
জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক]
কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন।
হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে]
ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান
তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে
জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সাধারণত হাদিয়া আদান প্রদাণ করার দ্বারা মুহাব্বত, ভালোবাসা
বৃদ্ধি পায়। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য ফিতনার আশংকা না থাকলে সেই নন মাহরামের
দেওয়া হাদিয়া ব্যবহার করা জায়েয আছে। তবে ফেতনার আশংকা
থাকলে বা বিবাহ পূর্ব প্রেম ভালবাসার আশংকা থাকলে উল্লেখিত ফিফট
নেওয়া জায়েয হবে না আর নিলেও কোনো গরিব মিসকিনকে দিয়ে দেওয়াই উত্তম হবে।