আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।  আমার কিছু প্রশ্ন ছিল দয়া করে উত্তর দিবেন।

১/ তারাবি এর নামাজ এ মনোযোগ ধরে রাখা খুবি কঠিন হয়। এজন্য ইমাম কিরাত পাঠ এর সময় কি মনে মনে আল্লাহ এর কাছে দুয়া বা ইস্তেগফার বা আল্লাহ এর প্রশংশা করা যাবে?

২/ শহীদ রা কি আগে থেকেই নির্বাচিত আল্লাহ এর?

3/ কোনো মানুষ কি তার কর্ম দ্বারা শহীদ হতে পারে না? কেও আকাঙ্ক্ষা করলে বা দুয়া করলে কি শহিদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, নাকি তারা আল্লাহ এর নির্বাচিত আগে থেকেই?

৪/ বর্তমান যুগ এ জিহাদ এর প্রচলন নেই বললেই চলে। তাহলে এ যুগ এ শহীদ কাদের বলা যায়? যাদের জিহাদ এর ময়দানের মৃত্যু ব্যাতিত অন্য শাহীদি মৃত্যু পায়(যেমন মহামারি, পেটের পীড়া, আগুন, পানিতে ডুবে, এ্যাক্সিডেন্ট) তারা কি শহীদ এর পরিপূর্ণ মর্যাদা পান?

৫/ সাধারণত আলীমগণ ছোটবেলা থেকেই নেক সহবতে থাকেন এবং তাদের অনেক খেত্র রয়েছে দ্বীন এর জন্য কাজ করে আল্লাহ এর প্রিয় হবার৷ আগের যুগের সালাফ বা আল্লাহ এর অলী  গণ ও আলীম শ্রেণি ছিলেন। বর্তমান যুগ এ আমরা যারা সাধারণ লাইন এর ছাত্র আমাদের কি কোনো করণিয় রয়েছে যাতে আমরাও আলীম দের মত সুযোগ পাই দ্বীন এর খেদমত এর মাধ্যমে আল্লাহ এর প্রিয় হবার? দয়া করে জানাবেন বিস্তারিত।

জাজাকাল্লাহু খইরন।।।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হ্যাঁ মনে মনে পারবেন। 

(০২)
যেহেতু তাকদীর আগেই লেখা,তাই এই বিষয়টিও নির্ধারিত বিষয়।    

(০৩)
https://ifatwa.info/8748/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 

শহীদি মৃত্যুর জন্য কিছু আমল করা যেতে পারেঃ

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عن معقل ابن يسار عن النبي صلى اللهعليه وسلم قال : ” من قال حين يصبح ثلاث مرات : أعوذ بالله السميعالعليم من الشيطان الرجيم . وقرأ ثلاث آيات من آخر سورة الحشر وكلالله به سبعين ألف ملك يصلون عليه حتىمسى ، وإن مات في ذلك اليوم مات شهيدا ، ومن قالها حين يمسى كانبتلك المنزلة “

হযরত মাকাল বিন ইয়াসার রাঃ রাসূল সাঃ থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার পড়বে “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম”। তারপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত [ হুয়াল্লাহুল্লাজী লা-ইলাহা শেষ পর্যন্ত] তিলাওয়াত করবে। তাহলে আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন। যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের দ্আু করতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে। [তথা মাগরিব থেকে সকাল পর্যন্তের জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা গুনাহ মাফীর জন্য দুআ করে, আর সে সময়ে মারা গেলে শহীদের সওয়াব পাবে]।
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩০৯০।
কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩৫৯৭।
আত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-৩৭৯
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৩৪২৫।
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-২৫০২।
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩০৬।
মুসনাদুশ সাহাবাহ, হাদীস নং-২৯৭৯৫।
মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-২১৫৭।
এ হাদীসটি হাসান পর্যায়ের হাদীস।
,
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ شَهَادَةً فِي سَبِيلِكَ وَوَفَاةً بِبَلَدِ رَسُولِكَ 

যাইদ ইবন আসলাম (রহঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলতেন, হে আল্লাহ! তোমার রাহে শাহাদত আর তোমার রাসূলের এই নগরে (মদীনায়) আমার মৃত্যু তোমার কাছে আমি প্রার্থনা করি।
(মুয়াত্তা মালিক ৯৮৯)
,
সুতরাং এই দোয়া পড়তে হবে। 
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ شَهَادَةً فِي سَبِيلِكَ
,
قال صلى الله عليه وسلم ((من سأل اللَّه الشهادة بصدق، بلّغه اللَّه منازل الشهداء وإن مات على فراشه)).
وفي لفظ آخر: ((من طلب الشهادة صادقاً أعطيها ولو لم تصبه))
مسلم،  كتاب الإمارة، باب استحباب طلب الشهادة، برقم 1908.
সারমর্মঃ সত্য দীলে আল্লাহর কাছে যে শাহাদত চাইবে,আল্লাহ তায়ালা তাকে শহীদদের মর্যাদা দান করবেন,যদিও সে তার বিছানায় মারা যাক। 
,
وعن حفصه رضي اللَّه عنها، أن عمر قال: ((اللَّهم ارزقني شهادة في سبيلك، واجعل موتي في بلد رسولك)) فقالت حفصه: ((أنى يكون هذا؟ قال: يأتيني به اللَّه إن شاء))
انظر صحيح البخاري،  أبواب فضائل أبواب المدينة، باب كراهية النبي r أن تُعرى المدينة، برقم 1890 .

হযরত ওমর রাঃ এই দোয়া পড়তেনঃ 
اللَّهم ارزقني شهادة في سبيلك، واجعل موتي في بلد رسولك)

(০৪)
তারা হুকুমের দিক থেকে শহীদ।
তারা শহীদের ছওয়াব পাবেন ঠিকই,তবে দুনিয়াতে তাদের উপর শহীদের বিধান জারী হবেনা।
,
এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ

(০৫)
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হয়ে আপনি দীনের অনেক খেদমতের আনজাম দিতে পারবেন,ইনশাআল্লাহ।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...