আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
229 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
মুফতি ওলি উল্লাহ উত্মাতর দিবেন। একসময় পাক পবিত্রতার বিষয়ে তেমন জ্ঞান ছিল না । তাই আমি অপবিত্র থাকতাম। এবং না জানার কারনে অনেকবার সেই অবস্থায় নামাজ পরেছি। কুরআন পরেছি। তো যাই হোক সেই সময় আমি যেহেতু নাপাক থাকতাম তাই আমার পুরো বাড়িতে নাপাক ছড়িয়ে পড়েছিল। কারন দেখা গেছে আমি ভেজা হাতে অনেক কিছুই ধরতাম। আমার কারনে আমার মা বাবাও নাপাক হয়ে গিয়েছিলেন। এটা অনেকদিন আগের ঘটনা । এক বছরেরও বেশী সময় আগের।

তো এই এক বছরে আমি সবসময় পাক পবিত্র থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সমস্যা হলো সবকিছু তো ধোয়া সম্ভব নয়। যেমন ইস্ত্রি মেশিন । অনেক সময় এটাকে ভেজা কাপড় শুকানোর জন্য ব্যবহার করতে হয় । যদিও এতোদিনে নাপাকী নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কারন এখানে সরাসরি কোনো নাপাকী লাগে নি । লেগেছে পরোক্ষভাবে । যেমন আমার পুরো শরীর তখন অপবিত্র থাকত। তাই আমি ভেজা হাতে যা ধরতাম তাই নাপাক হয়ে যেত। আর ইস্ত্রি মেশিনটিতে কোনো চিন্হ বা গন্ধও নেই।

এখন আমি কী ইস্ত্রি মেশিন কে পাক ধরব?

আবার সেই সময় আমি যেই ব্লেন্ডার ব্যবহার করতাম সেটা এতো দিন ব্যবহার করা  হয় নি। তো আমি আজকেভুল করে সেই ব্লেন্ডারে মেহেদি বেটে মাথায় লাগাই । এবং মেহেদির রস ওয়ালা হাতে সারা বাড়ির অনেক কিছু স্পর্শ করি। যদিও ব্লেন্ডারের নাপাকিও ছিল পরোক্ষ এবং তা এই এক বছরে নিঃশেষ হয়ে গেছে । যেখানে কোনো চিন্হ বা গন্ধ নেই।
তাহলে কী আমার মেহেদি বাটা নাপাক?

আমার এক পরিচিত চাচা, তিনি তাবলিক করতেন একসময় ।তো তিনি আমাকে বলেন যে যেহেতু শুকিয়ে যাওয়ার পর এক বছর পার হয়ে গেছে তাই সেই জিনিসগুলো এখন পবিত্র । সেখানকার নাপাকী নিঃশেষ হয়ে গেছে ।

1 Answer

0 votes
by (645,180 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

https://ifatwa.info/36707/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
প্লাস্টিকের জিনিষে নাপাকি লাগার পর, সেই নাপাকি শুকিয়ে গেলে উক্ত অদৃশ্যমান নাজাসতের বেলায় এই প্লাস্টিককে পবিত্র হিসেবেই ধরে নেয়া হবে। কিন্তু ভিজে গেলে আবার অপবিত্র হিসেবে ধরে নেয়া হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যখন সেই ইস্ত্রি মেশিন/ব্লেন্ডার ধরেছিলেন,তখন কি আপনার হাতে ভেজা নাপাকি বিদ্যমান ছিলো?

যদি আপনার হাতে ভেজা নাপাকি থাকা অবস্থায় আপনি ইস্ত্রি মেশিন/ব্লেন্ডার ধরে থাকেন,তাহলে উক্ত ইস্ত্রি মেশিন/ব্লেন্ডার এর হাতল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অথবা ভেজা পাক কাপড় দিয়ে তিনবার মুছতে হবে।
নতুবা পাক হবেনা।

এক্ষেত্রে সেটি শুকিয়ে যাওয়ার পরেও যদি আপনি ভেজা হাতে সেই হাতল স্পর্শ করেন,তাহলে আপনার হাত নাপাক হয়ে যাবে।
যদিও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হোকনা কেনো।
তবে শুকনো হাত দিয়ে হাতল ধরলে কোনো সমস্যা হবেনা। 

হ্যাঁ যদি ইস্ত্রি মেশিন/ব্লেন্ডার ধরার সময় আপনার হাতে ভেজা নাপাকি না থেকে থাকে,তাহলে তো ইস্ত্রি মেশিন/ব্লেন্ডার পাকই আছে।
কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 306 views
0 votes
1 answer 277 views
0 votes
1 answer 273 views
...