আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
244 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
১) কিছু দিন আগে আমি আপনাদের এখানে একটা প্রশ্ন করেছিলাম। তা নিম্নরুপঃ

,"কিছুদিন আগে আমি এমন অবস্থায় পড়েছিলাম যে আমার পরাশুনা ছেড়ে না দিলে শিরক হবে। আমি পরাশুনা ছেড়ে দেই নি।

অর্থাৎ শিরক করেছি।

এখন যদি আমি সব শিরকের জন্য তাওবা করি,তবে কি আমি পরাশুনা চালিয়ে যেতে পারব?"

আপ্নারা বলেছিলেন যে হ্যা। তাওবা করে পরাশুনা চালিয়ে যাওয়া যাবে।

কিন্তু প্রশ্ন করার সময় আমার মেনটালিটি ছিল যে, যেভাবেই হোক আমাকে পরাশুনা চালিয়ে যেতেই হবে।চাই শিরক হোক বা না হোক।
মানে পরাশুনা যাতে চালিয়ে যেতে পারি,সে জন্যই আপনাদেরকে ফাতওয়া জিজ্ঞেস করেছিলাম।

এখন আমি সেই মেনটালিটি থেকে ফিরে এসেছি।

এখন কি আমি ওই ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করতে পারব??

২)আমি আমার গার্লফ্রেন্ড কে অনেক ভালোবাসি। কখনো কোন কষ্ট দিতে চাই না।এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে,যদি কখনো এমন অবস্থা হয় যে তাকে গালি দিলে শিরক হবে,আমি তখন গালি দিতে পারব কি না।(যদিও এখনো সেরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি।তবে আমার সন্দেহ হচ্ছে যে গালি দিতে পারব কি না)

এখন আমি কি করব?

নিজের মন কে বুঝাব যে আল্লাহর জন্য আমি গার্লফ্রেন্ড কে গালি দিতে পারব?

নাকি ওকে এখন গালি দিব?

৩)বেশ কিছু দিন আগে এমন একটা অবস্থায় পড়েছিলাম যে আমার গার্লফ্রেন্ডকে ছেড়ে না দিলে শিরক হবে। সে মন খারাপ করবে এই আশঙ্কায় আমি তাকে ছেড়ে দেই নি।

অরঅর্থাৎ শিরক করেছি।আরও বেশ কয়েকবার আমি একই কাজ করেছি।

এখন যদি আমি সব শিরকের জন্য তাওবা করি,তবে কি আমি ওই মেয়ে কে বিয়ে করতে পারব??


৪)শিরক না এমন কোন কিছু কে শিরক মনে করে দুনিয়াবি ফায়দা লাভ করাও কি শিরক?

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

(১)
জ্বী , আবার বলছি, বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী আপনি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবেন।

(২)
এমন প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা নেই।

(৩)
জ্বী, বিয়ে করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,200 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...