আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।।
নামাযে নিয়তের পূর্বে কোন সূরা পড়বো তা কি আগে থেকে ঠিক করতে হবে?
নাকি নিয়তের পর সূরা ফাতিহা পাঠ করে যা মনে আসে বা তিলাওয়াত করতে ইচ্ছে হয় তাই তিলাওয়াত করতে পারবো।

সূরার ক্রমানুসারে  পাঠের বিষয়টি বিস্তারিত জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
নামাজে আবশ্যিকভাবে কোনো সুরা নির্দিষ্ট করবেনা। 
এমনটা করা যাবেনা যে ঐটা ছাড়া অন্য সূরা পড়বেইনা।
তবে কোনো সূরা নিজের কাছে সহজ মনে হলে বা নামাজে নির্ভুল পড়তে পারে,এমন সূরা হলে তাকে নামাজের আগে নির্দিষ্ট করা যাবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ ؕ
কাজেই কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়।
(সুরা মুয্যাম্মিল ২০)


الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1 / 544):
"(وَلَا يَتَعَيَّنُ شَيْءٌ مِنْ الْقُرْآنِ لِصَلَاةٍ عَلَى طَرِيقِ الْفَرْضِيَّةِ) بَلْ تَعَيُّنُ الْفَاتِحَةُ عَلَى وَجْهِ الْوُجُوبِ (وَيُكْرَهُ التَّعْيِينُ) كَالسَّجْدَةِ وَ - {هَلْ أَتَى} [الإنسان: 1]- لِفَجْرِ كُلِّ جُمُعَةٍ، بَلْ يُنْدَبُ قِرَاءَتُهُمَا أَحْيَانًا.
(قَوْلُهُ: عَلَى طَرِيقِ الْفَرْضِيَّةِ) أَيْ بِحَيْثُ لَا تَصِحُّ صَلَاةٌ بِدُونِهِ كَمَا يَقُولُ الشَّافِعِيُّ فِي الْفَاتِحَةِ
সারমর্মঃ
আবশ্যিক ভাবে নামাজের জন্য কোনো সূরা নির্দিষ্ট করবেনা।
এই পদ্ধতিতে যে ইহা ছাড়া নামাজই হবেনা,এমন ভাবে নির্দিষ্ট করা যাবেনা।    

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় ছুরত ঠিক আছে।
আপনি নামাযে নিয়তের পূর্বে কোন সূরা পড়বেন তা সেই সময়ে ঠিক করতে পারবেন।
নিয়তের পর সূরা ফাতিহা পাঠ করে যা মনে আসে বা তিলাওয়াত করতে ইচ্ছে হয় তাও তিলাওয়াত করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই। 

(০২)
শরীয়তের বিধান মতে কুরআনের ছোট সুরা, যেগুলো কুরআন শরিফের শেষ দিকে আছে,যেমন সুরা ফিল থেকে নিয়ে সুরা নাস পর্যন্ত।
,
সেই ছোট সুরা গুলো নামাজের মধ্যে পড়ার ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ    

এক সূরা পড়ার পর পরের রাকাতে মাঝখানে এক সূরা বাদ দিয়ে পরের সূরা পড়া মাকরূহ্ তবে দুই সূরা বাদ দিয়ে পড়াতে কোন সমস্যা নেই।

যেমন, প্রথম রাকাতে সূরা ফীল পড়ার পর, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কুরাইশ বাদ দিয়ে সূরা মা’ঊন পড়া মাকরূহ। কিন্তু সূরা কাউসার বা কাফিরূন বা এর পরের সূরাগুলো পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
তবে ভুলে এমন হলে সমস্যা নেই।
,
ইচ্ছাপূর্বক ভাবে মাঝের ছোট এক সুরা বাদ দেওয়া মাকরুহ।
তবে নামাজ হয়ে যাবে।

ক্বেরাতের ধারাবাহিকতা রক্ষার করার বিধান শুধুমাত্র ফরয নামাযের ক্ষেত্রে। নফলের ক্ষেত্রে উক্ত বিধান প্রযোজ্য নয়। যেমন দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,

 ﻭَﻻَ ﻳُﻜْﺮَﻩُ ﻓِﻲ اﻟﻨَّﻔْﻞِ ﺷَﻲْءٌ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚ 

ভাবার্থঃ নফল নামাযে ধারাবাহিতা রক্ষা না করে পড়া মাকরুহ নয়। ১/৫৪৭ 

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...