তবে কোনো সূরা নিজের কাছে সহজ মনে হলে বা নামাজে নির্ভুল পড়তে পারে,এমন সূরা হলে তাকে নামাজের আগে নির্দিষ্ট করা যাবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ ؕ
কাজেই কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়।
(সুরা মুয্যাম্মিল ২০)
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1 / 544):
"(وَلَا يَتَعَيَّنُ شَيْءٌ مِنْ الْقُرْآنِ لِصَلَاةٍ عَلَى طَرِيقِ الْفَرْضِيَّةِ) بَلْ تَعَيُّنُ الْفَاتِحَةُ عَلَى وَجْهِ الْوُجُوبِ (وَيُكْرَهُ التَّعْيِينُ) كَالسَّجْدَةِ وَ - {هَلْ أَتَى} [الإنسان: 1]- لِفَجْرِ كُلِّ جُمُعَةٍ، بَلْ يُنْدَبُ قِرَاءَتُهُمَا أَحْيَانًا.
(قَوْلُهُ: عَلَى طَرِيقِ الْفَرْضِيَّةِ) أَيْ بِحَيْثُ لَا تَصِحُّ صَلَاةٌ بِدُونِهِ كَمَا يَقُولُ الشَّافِعِيُّ فِي الْفَاتِحَةِ
সারমর্মঃ
আবশ্যিক ভাবে নামাজের জন্য কোনো সূরা নির্দিষ্ট করবেনা।
এই পদ্ধতিতে যে ইহা ছাড়া নামাজই হবেনা,এমন ভাবে নির্দিষ্ট করা যাবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় ছুরত ঠিক আছে।
আপনি নামাযে নিয়তের পূর্বে কোন সূরা পড়বেন তা সেই সময়ে ঠিক করতে পারবেন।
নিয়তের পর সূরা ফাতিহা পাঠ করে যা মনে আসে বা তিলাওয়াত করতে ইচ্ছে হয় তাও তিলাওয়াত করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে কুরআনের ছোট সুরা, যেগুলো কুরআন শরিফের শেষ দিকে আছে,যেমন সুরা ফিল থেকে নিয়ে সুরা নাস পর্যন্ত।
,
সেই ছোট সুরা গুলো নামাজের মধ্যে পড়ার ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ
এক সূরা পড়ার পর পরের রাকাতে মাঝখানে এক সূরা বাদ দিয়ে পরের সূরা পড়া মাকরূহ্ তবে দুই সূরা বাদ দিয়ে পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
যেমন, প্রথম রাকাতে সূরা ফীল পড়ার পর, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কুরাইশ বাদ দিয়ে সূরা মা’ঊন পড়া মাকরূহ। কিন্তু সূরা কাউসার বা কাফিরূন বা এর পরের সূরাগুলো পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
তবে ভুলে এমন হলে সমস্যা নেই।
,
ইচ্ছাপূর্বক ভাবে মাঝের ছোট এক সুরা বাদ দেওয়া মাকরুহ।
তবে নামাজ হয়ে যাবে।
ক্বেরাতের ধারাবাহিকতা রক্ষার করার বিধান শুধুমাত্র ফরয নামাযের ক্ষেত্রে। নফলের ক্ষেত্রে উক্ত বিধান প্রযোজ্য নয়। যেমন দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭَﻻَ ﻳُﻜْﺮَﻩُ ﻓِﻲ اﻟﻨَّﻔْﻞِ ﺷَﻲْءٌ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚ
ভাবার্থঃ নফল নামাযে ধারাবাহিতা রক্ষা না করে পড়া মাকরুহ নয়। ১/৫৪৭
বিস্তারিত জানুনঃ