আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in পবিত্রতা (Purity) by (56 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
১.আমার মাঝেমাঝেই ওয়াসওয়াসা হয়, ওয়াশরুমে গেলে ১০ মিনিটের মত শেষ হয়ে যায়। মাঝেমাঝে মনোযোগ ধরে রেখে পবিত্রতা অর্জন করি, তাই পরে আর সমস্যা হয় না। মাঝেমাঝে মনে থাকে না। আজকে ওয়াশরুমে যাওয়ার পর আমার পায়ের ভাঁজে অপবিত্রতা লাগার সম্ভাবনা বেশি, যা ১ দিরহামের চেয়ে বেশি হবে হয়তো। আমি অন্য স্থানে ভালো করে পবিত্রতা অর্জন কতেছি, এতটুকু মনে পড়ে, কিন্তু পায়ের ভাঁজগুলোতে পবিত্রতা অর্জন করেছি কিনা মনে পড়ছে না। এমন মাঝেমাঝেই হয়। আর এই স্থান নিয়েই হয়। এমনও হতে পারে অন্যস্থান ধোঁয়ার সময় তা পবিত্র হয়ে গেছে। আবার এমনও হতে পারে আমি এই স্থান ধুয়েছি কিন্তু মনে পড়ছে না। এখন কি আমি আবার গোসল করে নিবো? যেহেতু ওয়াশরুম থেকে আসার পর, জামা-স্বলাতের ওড়না ইউজ করেছি।

২. রোজা অবস্থায় গলায় কফ এলে তা গিলে ফেললে কি সিয়াম ভেঙ্গে যাবে?
৩. সূরা ফাতিহার ৪নং আয়াতে ইয়-য়াতে আলিফ ইয়া জযমে প্রেশার না দিলে কি অর্থ বিকৃত হয়ে যাবে?

৪. মাঝেমাঝে শয়তানের প্ররোচনায় বিবাহের কথা চলছে এমন পাত্র সম্পর্কে অশ্লীল চিন্তা চলে আসে যার ফলে সেক্সুয়ালি প্রবলেম ফেইস করি, এর ফলে কি গুনাহ হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতক্ষণ পর্যন্ত নাজাসত লাগার ব্যাপারে পূর্ণ ইয়াকিন ও বিশ্বাস না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিজ শরীর বা কাপড়কে শুধুমাত্র সন্দেহ দ্বারা নাপাক ভাবা যাবে না।

(২)
রোজা অবস্থায় গলায় কফ এলে তা গিলে ফেললেও রোযায় কোনো ক্ষতি হবে না।

(৩)
বুঝতে পারিনি আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?
সম্ভবত "ইয়্যাকা" এর উচ্ছারণ সম্পর্কে বলতে চাচ্ছেন।এখানে আপনার বর্ণনা অনুযায়ী উচ্ছারিত হয়ে গেলেও নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)
মনের অজান্তে হলে গোনাহ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত হলে গোনাহ হবে।এজন্য আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 74 views
...