আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বায়ু নিঃসরন জনিত সমস্যা অনেক দিনের।অনেক সময় ৫/১০ মিনিট ও অযূ রাখা কষ্টকর হয়ে যায়।
এই সমস্যার জন্য আমার সালাত পড়তে,কোরআন পড়তে অনেক অসুবিধা হচ্ছে।ওয়াক্ত ছুটে ও যায় অনেক সময়।
আমি একজন অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার দেখিয়েছি।উনি বলেছেন চিকিৎসা ঠিকমত নিলে ভালো হয়ে যাওয়ার কথা ইন শা আল্লাহ,তবে তার জন্য সময় লাগবে।
কিন্তু এখন বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত এবাদতের ব্যাপারে আমার কি করণীয়।আমার যে উযূ রাখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে খুব।

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

 

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়, বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।  

,

সুতরাং কোনো ব্যাক্তির যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে, উক্ত সমস্যা তথা পেশাব বের হওয়া জনিত সমস্যা  বন্ধ না হয়, বরং চলতেই থাকে, এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি মা'যুর।

আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন, এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।

(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)

,

পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন

,

আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

 

বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/3954/

,

মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়।

আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ

উরওয়াহ আল-মুযানী আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দুটি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আমাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।

 

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/12398/

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি মাযূর হিসেবে গণ্য হবেন না। কারণ কোনো ব্যক্তি মাযূর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমনভাবে অতিবাহিত হওয়া যে, উক্ত সমস্যা তথা পেশাব বের হওয়া জনিত বা বায়ু বের হওয়ার সমস্যা  বন্ধ না হয়, বরং চলতেই থাকে, এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট সূরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় আপনি মাযূর হিসেবে গণ্য হবেন না।

আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার কথার দ্বারা যতটুকু বুঝতে পারছি যে, আপনার এমনটা নয়।  

 

২. দুআ করি আল্লাহ তায়ালা আপনাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে দিন। তাই পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত একটু কষ্ট করে ওযু করে করে নামাজ পড়ে নিবেন। আশা করি আপনার এই কষ্টের কারণে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনেক সওয়াব দিবেন।

 

৩. নামাজের ওয়াক্ত শুরু হলেই আপনার উপর নামাজ পড়া আবশ্যক নয়। বরং নামাজের পুরো সময়ের মধ্যে যখন দেখবেন যে, ওযু দীর্ঘক্ষন রাখতে পারবেন তখন ওযু করে নামাজ পড়ে নিবেন। মোটকথা পুরো ওয়াক্তের মাঝে আপনার সুবিধা অনুযায়ী নামাজ পড়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 229 views
0 votes
1 answer 117 views
...